কেন্দ্রীয় সরকারের ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র টাকার অপব্যবহার করার একাধিক অভিযোগ উঠছে উত্তর প্রদেশে। উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জে সদ্য ১১ জন বিবাহিত মহিলা, তাঁদের স্বামীদের ছেড়ে প্রেমিকদের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন এই ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র একটি অংশের টাকা নিয়ে। ঘটনার পর তাঁদের স্বামীরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ জানালে, গোটা ঘটনা সামনে আসে।
‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ মূলত মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলিকে বাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক সাহায্য দিয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই স্কিমে বিভিন্ন কিস্তিতে পরিবারগুলি টাকা পায়। মহারাজগঞ্জের ঘটনায় ১১ জন বিবাহিত মহিলা এই বাড়ি তৈরির কিস্তির প্রথম অংশের টাকা তুলে নিয়ে তাঁদের প্রেমিকদের সঙ্গে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই যোজনায় প্রথম কিস্তির টাকা ৪০ হাজার। সেই টাকা সঙ্গে নিয়েই তাঁরা পালিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে এক রিপোর্টে। ‘নিউজ ১৮’ এর খবর অনুযায়ী উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জে এই আবাস যোজনার টাকা পেয়েছেন ২,৩৫০ জন। যাঁরা পেয়েছেন এই টাকা তাঁরা থুঠিবাড়ি, শীতলাপুর, ছাতিয়া, রামনগর, বকুল দিহা, খসরা, কিশুনপুর ও মেধৌলি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। কিছু মিডিয়া রিপোর্টও দাবি করেছে যে এই ঘটনার পরে, কর্মকর্তারা সুবিধাভোগীদের জন্য দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ প্রদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই স্কিমের আওতায় বাড়ি তৈরির সাহায্যে নানান সুবিধা দিয়ে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিবারের আর্থিক রোজগারের নিরিখে সরকারি আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়। তবে যদি কোনও রকমের অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়, তাহলে কর্তৃপক্ষ সুবিধাভোগীদের থেকে টাকা ফেরতও নিয়ে নিতে পারেন।
উত্তর প্রদেশে আবাস যোজনার টাকা নিয়ে বিবাহিত মহিলাদের প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও ৪ জন বিবাহিত মহিলা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে তাঁদের প্রেমিকদের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেবার তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছিলেন মহিলারা। ঘটনা তখন ধরা পড়ে, যখন দেখা যায়, তাঁরা টাকা পেলেও বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেননি। বাড়ি তৈরির তৎক্ষণাৎ নির্দেশ দেয় প্রশাসন। উপভোক্তার নামে যায় নোটিস। তবে কোনও সদুত্তর পাননি প্রশাসনিক কর্তারা। এরপর ওই মহিলাদের স্বামীরা ‘ডিস্ট্রিক্ট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’র কাছ থেকে সতর্কতা মূলক বার্তা পান।