নরওয়েতে নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়ী বামপন্থী জোট। লেবার পার্টির নেতা জোনাসের নেতৃত্বে এই জয় পেল বামপন্থী জোট। জোনাস বলেছেন, 'আমরা এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম, আশায় ছিলাম, আমরা খুবই পরিশ্রম করেছি। শেষ পর্যন্ত আমরা পেরেছি।' প্রধানমন্ত্রীও হয়েছেন তিনি।
২০১৩ থেকে ক্ষমতায় ছিল রক্ষণশীল নেত্রী অ্যারনা সোলব্যর্গের নেতৃত্বাধীন জোট। আট বছর পর তাদের ক্ষমতাচ্যুত করল বামপন্থী জোট। নির্বাচনের এই ফল দেশের তেল শিল্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
১৬৯ সদস্যের পার্লামেন্টে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ছিল ৮৫টি আসনের। বামপন্থীরা পেয়েছেন ১০০ টি আসন। বামপন্থী জোটের নেতা বলছেন, 'নরওয়ের মানুষ একটা বার্তা দিয়েছেন। তাঁরা ন্যায্য সমাজ চান, যেখানে বিভেদ থাকবে না।'
নরওয়ের নির্বাচনী প্রচারের সময় সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছিল জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রিপোর্ট। বামপন্থরা বলেছিলেন, তেলভিত্তিক অর্থনীতি থেকে ধীরে ধীরে নরওয়েকে সরে আসতে হবে। গ্রিন পার্টি অবিলম্বে তেল খোঁজার কাজ বন্ধ করার দাবি তুলেছিল। রক্ষণশীলরাও পেট্রো পদার্থের উপর নির্ভরতা কমানোর কথা বলেছিল। নরওয়ে হল পশ্চিম ইউরোপের অন্যতম তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদক।
সোলবার্গ বলেছেন, তিনি বামপন্থীদের জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আর জোনাস বলেছেন, 'নরওয়ে নতুন সরকার পাচ্ছে। মানুষ যাতে নতুন দিশা পান, সেটা নিশ্চিত করা হবে।'
বামপন্থীরা কম ও মধ্য আয়ের মানুষদের কর হ্রাস করার ও বড়লোকদের উপর বেশি কর বসানোর কথা বলেছেন। তাঁরা গ্রামের সমর্থকদের স্বার্থ রক্ষা করার কথাও বলেছেন। এখন দেখার সরকারে এসে কতটা পরিবর্তন আনতে পারেন বামপন্থীরা।