অ্যাব্রাহাম থমাস
যত নম্রতা দেখানো হচ্ছে কিশোরদের প্রতি তারা ততটাই বেশি ভয়ানক অপরাধ নিয়ে সাহসী হয়ে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে এই বার্তা দিয়ে কার্যত সচেতন করার সুর তুলে ধরল। কার্যত সুপ্রিম কোর্ট এই পর্যবেক্ষণের দ্বারা সরকারকেই একটি প্রচ্ছন্ন প্রশ্ন তুলে দিয়েছে যে, দেশের 'জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট' নিয়ে নতুন পর্যালোচনা প্রয়োজন?
২০১৮ সালে কাঠুয়ায় ৮ বছরের শিশুর গণধর্ষণ কাণ্ডের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ উঠে আসে। সেই মামলায় এক অভিযুক্তকে ঘিরে নাবালক হওয়ার প্রসঙ্গ উঠতেই একথা বলে কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও অজয় রস্তোগির বেঞ্চ এদিন এই ইস্যুতে বক্তব্য তুলে ধরেন। কাঠুয়া গণধর্ষণ মামলায় ২০১৯ সালে ১১ অক্টোবর ধর্ষণে অভিযুক্ত শুভম সাংরাকে নাবালক হিসাবে ধরে আইনি নির্দেশ দেয় জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট। এরপর সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয় যে ওই অভিযুক্তকে সাবালক ধরেই এগোতে হবে আইনি পথে। বেঞ্চ এই মামলা প্রসঙ্গে বলছে, ' আমরা দেখছি ,সংস্কারের উদ্দেশে যে নম্রতা যতই দেখানও হচ্ছে, ততই নাবালকরা আরও সাহসী হচ্ছে ভয়ঙ্কর অপরাধের দিকে।' আদালত বলছে, 'এবার সরকার দেখুক যে ২০১৫ সালের আইনটি কার্যকরি হচ্ছে নাকি, তা নিয়ে ফের আলোচনা করা দরকার, অনেকটা দেরি হয়ে যাওয়ার আগে।' উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জম্মুর কাঠুয়ায় এক নারকীয় যৌন অত্যাচারে ৮ বছরের শিশুকে গণধর্ষণ করা হয়। সেই সময় ৬ জনকে গ্রেফতার করে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তবে অভিযুক্ত এক নাবালকের মামলা আলাদাভাবে চলছিল। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই নাবালককে প্রাপ্ত বয়স্ক হিসাবে ধরেই চলবে মামলা।
এর আগে কাঠুয়া গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত শুভম জম্মু ও কাশ্মীরের হাইকোর্টে আবেদন করে, যাতে তাকে নাবালক হিসাবে ধরে মামলা এগোয়। উল্লেখ্য, ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ১৬ বছর, বলে দাবি শুভমের। আদালতের কাছে শুভমের আর্জি ছিল যে, তাকে সাজা যেন নাবালক হিসাবে ধরেই দেওয়া হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট তাকে প্রাপ্ত বয়স্ক ধরে সাজার মামলার নির্দেশ দিয়েছে। শুভমের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট দেখেছে যে, অভিযুক্ত শুভমের জন্ম তারিখ সম্পর্কিত বৃত্তান্ত হাসপাতাল যা বলেছে, তাতে তাকে নাবালক বলার ক্ষেত্রেও রয়েছে বিভ্রান্তি।