বহুতলের কাছে ঘোরাফেরা করছে লেপার্ড।এমনটাই নাকি দেখতে পেয়েছেন বহুতলের এক আবাসিক। আর তারপরেই চরম চাঞ্চল্য ছড়়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডা এলাকার ঘটনা। একটি বহুতল থেকে বাসিন্দারা এই চিতাবাঘটিকে প্রথম দেখতে পান বলে দাবি করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে গ্রেটার নয়ডার ওয়েস্টের এক বাসিন্দা গৌতম বুদ্ধ নগর বনবিভাগের কাছে খবর দেন যে অঞ্জনা-লে গার্ডেনের কাছে একটি চিতাবাঘ ঘুরে বেড়াচছে। এদিকে এই খবর চাউড় হতেই বাসিন্দাদের মধ্য়ে শোরগোল পড়ে যায়।বনদফতরের কর্মীরা ও পুলিশের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়।
জেলা বনাধিকারিক পিকে শ্রীবাস্তবের মতে, লে গার্ডেন বহুতলের সোসাইটির তরফে বলা হয়েছে একটি চিতাবাঘ এলাকায় ঘুরছে। সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ এটাকে দেখা গিয়েছে।
বনাধিকারিক জানিয়েছেন,বহুতলের কাছে চিতাবাঘটি ঘুরছে বলে আমাদের জানানো হয়েছিল। এরপরই ফরেস্টের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু কোনও এই ধরনের জন্তুকে ওখানে দেখা যায়নি। কিন্তু বাসিন্দারা যে দাবি করেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ধরনের কোনও জন্তু আদৌ এলাকায় রয়েছে কি না খুঁজে দেখা হচ্ছে।
এদিকে বিশরাখ থানার স্টেশন হাউজ অফিসার অনিল কুমার জানিয়েছেন যে এক বাসিন্দা ফোন করে জানিয়েছেন যে তিনি সকালে একটি চিতাবাঘ এলাকায় ঘুরতে দেখেছিলেন।
পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বহুতলের কাছেই একটি চিতাবাঘ ঘুরছিল বলে আমাদের কাছে ফোন এসেছিল। লে গার্ডেন সোসাইটির তরফে ব্যাপারটি আমাদের জানানো হয়েছিল। এরপর টিম পাঠানো হয়েছিল। ঠিক কোন জায়গায় সেটি ছিল সেটা দেখা হচ্ছে। কিন্তু এনিয়ে কোনও কিছু পাওয়া যায়নি।
এদিকে কোনও ঝুঁকি এড়াতে পুলিশ ও বনদফতরের আধিকারিকরা এলাকায় রয়েছেন। আবাসিকদেরও সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি মুম্বইতে চিতাবাঘের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ১৬ মাস বয়সী এক কন্য়া সন্তানের। মুম্বইয়ের আরে কলোনি এলাকার ঘটনা। হাসপাতালে ভর্তির আগেই মৃত্যু হয় তার।
সঞ্জয় গান্ধী ন্য়াশানাল পার্কের ডিরেক্টর জি মল্লিকার্জুন হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ভোরবেলা ওই শিশুটির মা স্থানীয় মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন বাচ্চাটাও তাঁর পেছনে যাচ্ছিল। এমন সময় চিতাবাঘটি ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা চিৎকার করে ওঠে। চিতাবাঘটি বাচ্চাটিকে ফেলে পালায়। এরপর ইতিকা নামে ওই মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার ঘাড়ে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছিল। আতঙ্কে ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিকে উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি বনদফতর।