বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ‘অপরাধ’ নয় সমকাম, তবে করা যাবে না বিয়ে! দুই তরুণীর আবেদন খারিজ হাই কোর্টে

‘অপরাধ’ নয় সমকাম, তবে করা যাবে না বিয়ে! দুই তরুণীর আবেদন খারিজ হাই কোর্টে

স্বেচ্ছায় ভালোবেসে দুই তরুণী একে অপরকে বিয়ে করেছেন। সেই বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছিলেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের।

স্বেচ্ছায় ভালোবেসে দুই তরুণী একে অপরকে বিয়ে করেছেন। সেই বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছিলেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের।

স্বেচ্ছায় ভালোবেসে দুই তরুণী একে অপরকে 'বিয়ে' করেছেন। সেই ‘বিয়ে’র স্বীকৃতি চেয়ে তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছিলেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের। আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন আবেদনকারী তরুণীদের অকজনের মাও। মায়ের অভিযোগ, অপর তরুণী তাঁর মেয়েকে ‘বন্দি’ করে রেখেছেন। সব পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে উচ্চ আদালত সবার আবেদনই খারিজ করে দেয়।

সম্প্রতি এলাহাবাদ উচ্চ আদালতে বছর ২৩-এর তরুণীর মা একটি মামলা দায়ের করে অভিযোগ করেছিলেন ২২ বছরের এক তরুণী তাঁর মেয়েকে বেআইনি ভাবে আটকে রেখেছে। এরপর বিচারপতি শেখর কুমার যাদব দুই তরুণীকেই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশি দিয়েছিলেন। আদালতে হাজির হয়ে দুই জনে দাবি করেন যে তাঁরা বিবাহিত এবং আদালতের কাছে সেই বৈবাহিক সম্পর্কের স্বকৃতি চান। তাঁদের যুক্ত ছিল, সুপ্রিম কোর্ট এর আগে রায়দান করে জানিয়ে দিয়েছে যে সমলিঙ্গে যৌনতা অপরাধ নয়। পাশাপাশি তাঁদের আরও দাবি, হিন্দু বিবাহ আইনে ‘দুই ব্যক্তি’র বিবাহের কথা উল্লেখ থাকলেও সেই দুই ব্যক্তিকে যে বিপরীত লিঙ্গের হতে হবে, তা উল্লেখ করা নেই।

যদিও সরকার পক্ষের আইনজীবী যুক্ত পেশ করেন, হিন্দু বিবাহ আইন ১৯৫৫, বিশেষ বিবাহ আইন ১৯৫৪, এমনকি বিদেশি বিবাহ আইন ১৯৬৯ এমন বিয়ের স্বীকৃতি দেয় না। তাঁর বক্তব্য, হিন্দু ধর্ম বা মুসলমান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ধর্মেও সমকামী বিয়ে অনুমোদন দেওয়া হয় না। ভারতীয় সংস্কৃতির কথা তুলে ধরে সরকারি আইনজীবী নিজের যুক্ত সাজান। এরপরই দুই তরুণীর বৈবাহিক সম্পর্ককে বৈধতা দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয় আদালতের তরফে। পাশাপাশি আবেদনকারী মায়ের আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয়। যার ফলে আইনের চোখে স্বীকৃতি না পেলেও দুই তরুণী একে অপরের সঙ্গে থাকতে পারবেন।

 

বন্ধ করুন