মহন্ত নরেন্দ্র গিরির মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানো হল। তা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ইমেল আইডিতে চিঠির মাধ্যমে পিটিশন দাখিল করলেন এক আইনজীবী। সেইসঙ্গে অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতির মৃত্যুতে বিস্তারিত তদন্তের দাবি তুলেছেন অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বামী জিতেন্দ্রনন্দ সরস্বতী।
সোমবার প্রয়াগরাজে বাঘামবারি মঠে ভারতের সাধুদের বৃহত্তম সংগঠন অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। আইজি কে পি সিং জানিয়েছেন, সোমবার বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিট নাগাদ মঠ থেকে ফোন যায় পুলিশের কাছে। জানানো হয়, শিষ্যরা মহন্ত গিরির দেহ উদ্ধার করেছেন। একটি গেস্ট হাউস থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে তিনি দিনের বেলায় থাকতেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন মহন্ত নরেন্দ্র। তবে ময়নাতদন্ত এবং ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তারইমধ্যে ঘটনাস্থল থেকে সাত-আট পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। যাতে লেখা ছিল যে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন মহন্ত। সেই পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মৃত্যুর জন্য এক শিষ্য এবং দু'জনকে দায়ী করা হয়েছে সুইসাইড নোটে। তবে সেই সুইসাইড নোটের সত্যতা যাচাই করে দেখছে পুলিশ।
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, মহন্ত নরেন্দ্রের মৃত্যুর ঘটনায় অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের এক শিষ্যকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। যেহেতু তিনি বিভিন্ন গোপন কথা জানেন, সেজন্য তাঁকে দোষী বানানোর চেষ্টা করছে একটি অংশ।
তারইমধ্যে সুনীল চৌধুরী নামে এক আইনজীবী এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ইমেল আইডিতে মহন্ত নরেন্দ্রের মৃত্যুর ঘটনায় উপযুক্ত তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর সেই ইমেলকে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে বিবেচনা করার আর্জি জানিয়ে আইনজীবীর বক্তব্য, একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে সেই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা এবং জমি মাফিয়ার নাম উঠে আসছে। পাশাপাশি প্রয়াগরাজের জেলাশাসক এবং বিশেষ পুলিশ সুপারকে সাসপেন্ড করার আর্জি জানিয়েছেন আইনজীবী। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘মহন্তকে নিরাপত্তা প্রদান করতে রাজ্য সরকার। প্রচুর শিষ্য এবং নিরাপত্তা সত্ত্বেও কীভাবে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে?’