গত কয়েকদিনের কোভিড গ্রাফ অনুযায়ী দেশে ক্রমাগত নেমে যেতে দেখা যাচ্ছে কোভিডের গ্রাফ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় যেমন কমতি এসেছে, তেমনই ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তও ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারি বিভিন্ন দফতরে সম্পূর্ণ উপস্থিতিও জারি হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু রাজ্যে খানিকটা শিথিল হয়েছে কোভিড বিধি। এরই মাঝে কোভিড বিধিতে ছাড় দেওয়ার সপক্ষে বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রও।
কোভিড ইস্যুতে বুধবার সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি পাঠিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, কোভিড ঘিরে বিধি নিষেধের বাড়তি পর্ব এবার শেষ করা যেতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে একথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে কিছুটা বিধি শিথিল করা হয়েছে। শর্ত সাপেক্ষে তুলে নেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরের আরটি পিসিআর টেস্ট, পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনও উঠে গিয়েছে আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রীদের জন্য। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ তাঁর চিঠিতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে তাদের আরোপিত বাড়তি বিধির বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখার কথা বলেছেন। পরিস্থিতি বুঝে কোভিড বিধি তুলে নেওয়ার কথাও রয়েছে কেন্দ্রের তরফে পাঠানো চিঠিতে। চিঠিতে রাজেশ ভূষণ লেখেন, 'কোভিড মহামারী ২১ জানুয়ারি ২০২২ সালে ক্রমাগত নিম্নমুখী প্রবণতাতে রয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। গত সপ্তাহে গড় দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৫০, ৪৭৬, আর শেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৭,৪০৯ নতুন করোনা কেসের সন্ধান মিলেছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশে পজিটিভিটির হার কমে হয়েছিল ৩.৬৩ শতাংশ।' সেই মর্মে যেহেতু কোভিড গ্রাফ ক্রমাগত কমতির দিকে রয়েছে, তাই রাজ্যগুলিকে করোনা বিধি আরও শিথিল করার পক্ষেই বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র।
তবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রতি চিঠিতে বলা হয়েছে, আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের কোভিড গ্রাফ খতিয়ে দেখতে হবে। তারপরই এই বিষয়ে যেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্রের বার্তা, কোভিড বিধির জেরে যাতে সাধারণ মানুষের আর্থিক কর্মকাণ্ডে ছেদ না পড়ে বা যাতায়াতে অসুবিধা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। তবে এই সবের মাঝেও করোনার সংক্রমণের বিভিন্ন দিকে নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ চালানোর কথা বলেছে কেন্দ্র।