শীঘ্রই বাজারে ছাড়া হবে ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের শেয়ার। দেশের বৃহত্তম ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিংয়ের (আইপিও) আগে ‘অটোমেটিক রুটে’ সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) অনুমোদন দিল কেন্দ্র। সূত্র উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার ফলে এবার এলআইসির শেয়ার বাজারে ছাড়া হলে তা কিনতে পারবেন বিদেশি বিনিয়োগকারীর। বর্তমানে যে এফডিআই নীতি প্রচলিত আছে, তাতে ভারতীয় জীবন বিমা নিগমে বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ করা নেই। যে বিধি ১৯৫৬ সালের এলআইসি আইন অনুযায়ী তৈরি করা হয়। তবে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ২০ শতাংশ এফডিআইয়ের অনুমোদন আছে। সেইমতোই এলআইসির ক্ষেত্রেও এফডিআইয়ের সীমা ২০ শতাংশে বেঁধে রাখা হয়েছে। যা অটোমেটিক রুটের (বিনিয়োগের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা ভারত সরকারের অনুমতি লাগবে না) মাধ্যমে হবে।
আনুমানিক ৭৫,০০০ কোটি টাকায় পাঁচ শতাংশ শেয়ার বিক্রির জন্য চলতি মাসেই বাজার নিয়ন্ত্রক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার (সেবি) কাছে খসড়া জমা দিয়েছে এলআইসি। সেবির কাছে এলআইসির আইপিওয়ের যে খসড়া নথি জমা পড়েছে, তাতে ‘অফার ফর সেল’-এর মাধ্যমে ৩৬১.২৫ মিলিয়ন শেয়ার বেচতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী মাসেই বাজারে সেই শেয়ার ছাড়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। সেইসময় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের আওতাধীন ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট দফতরের (দিপম) সচিব তুষারকাণ্ড পাণ্ডে টুইটারে বলেন, ‘সেবির কাছে আজ এলআইসি আইপিওয়ের খসড়া নথি (ডিআরএইচি) জমা পড়েছে। সংস্থার প্রায় ৩১.৬ কোটি শেয়ার ছাড়া হবে। যা সংস্থার পাঁচ শতাংশ ইক্যুইটি শেয়ারের সমতুল্য।’
এমনিতে চলতি অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে বাজার থেকে ১.৭৫ লাখ কোটি টাকার তোলার পরিকল্পনা করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণ সত্ত্বেও সেই লক্ষ্য ছুঁতে পারবে না কেন্দ্র। সেই পরিস্থিতিতে ‘ডিসইনভেস্টমেন্ট পাইপলাইন’-এর মাধ্যমে সরকারের কোষাগারে টাকা আনতে এলআইসির বিলগ্নিকরণের পরিকল্পনা কেন্দ্রের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। চলতি মাসের শুরুতে সেই বিষয়টি স্পষ্টও করে দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সাধারণ বাজেটে তিনি জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই এলআইসি আইপিও জারি করা হবে। সেই প্রক্রিয়া চলবে। তার ফলে লাভবান হবেন আমজনতা।