প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করল ভারত। প্রথমবারের জন্য দেশীয় এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার আইএনএস বিক্রান্তে অবতরণ করল ভারতে তৈরি ‘লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট’-র (এলসিএ)। যা নৌবাহিনী ভার্সনের প্রোটোটাইপ ছিল। সেইসঙ্গে আইএনএস বিক্রান্ত থেকে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এলসিএ উড়েছে। যে আইএনএস বিক্রান্ত গত বছর সেপ্টেম্বরে ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভু্ক্ত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সোমবার আইএনএস বিক্রান্তে এলসিএ ওঠানামা করার ফলে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’-র সাফল্য আরও একবার বোঝা গেল। সেইসঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত যে আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে নেমেছে, তাও যেন আরও গতি পেল। নাম গোপন রাখার শর্তে বিষয়টি নিয়ে এক আধিকারিক বলেছেন, 'আজ যে কাজটা করা হল, সেটার মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো যুদ্ধবিমান নিয়ে দেশীয় এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার (যে নৌতরী থেকে বিমান ওঠানামা করতে পারে) তৈরি করা এবং চালানো নিয়ে ভারতের ক্ষমতা ফুটে উঠল।'
অপর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এমন একটা এলসিএ (নৌবাহিনী ভার্সনের) ওঠানামা করল, যখন পুরোপুরিভাবে ‘কাজ’ শুরু করার জন্য আইএনএস বিক্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ ট্রায়াল চলছে। পরীক্ষামূলকভাবে ওঠানামা করছে বিমান। যে প্রক্রিয়ায় যুক্ত আছে মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান। যে যুদ্ধবিমান এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার থেকে অবতরণের জন্য স্কাই-জাম্প ব্যবহার করে। আইএনএস বিক্রান্তে মোট ১২ টি মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান মোতায়ন করা হতে পারে বলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ৪৫,০০০ টনের আইএনএস বিক্রান্ত তৈরি করেছে কোচি শিপইয়ার্ড। খরচ পড়েছে ২০,০০০ কোটি টাকা। ভারতীয় নৌবাহিনীর আইএনএস বিক্রান্তের নাম অনুযায়ী ওই নয়া এয়ারক্রাফটের নাম দেওয়া হয়। ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তা চালাত ভারতীয় নৌসেনা। শুধুমাত্র আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং চিনের কাছে এই দৈর্ঘ্যের এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার আছে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)