ব্রাজিলের রিও দি জেনেরিওতে বিশাল আকৃতির যীশু খ্রীষ্টের মূর্তি। প্রায় ১০০ ফুট উচ্চতার এই মূর্তি। আর সেই মূর্তিতেই যেন অলৌকিক কাণ্ড।শুক্রবার সেই মূর্তির উপর বিদ্যুতের ঝলকানির ছবি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। শুক্রবার ব্রাজিলের উপকূলে প্রচুর ঝড়বৃষ্টি হয়। সেই ঝড়বৃষ্টির মধ্যে প্রবল বজ্রপাত হয় ব্রাজিলের আকাশে। সেখানেই দেখা যায় আকাশ ফুঁড়ে বিদ্যুতের ঝলকানি। আর সেই বিদ্যুতের ঝলকানি একেবারে মূর্তির মাথায় গিয়ে পড়ে। এরপর যেন একেবারে ঈশ্বরের রূপ ধারণ করে গোটা মূর্তি।
এই ছবিটি তুলেছেন ফার্নান্দো ব্রাগা। তিনি ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি শেয়ার করেছেন। সেই ছবির নাম তিনি দিয়েছেন, ডিভাইন লাইটনিং। It's FRIDAY। নিকন ডি৮০০ ক্যামেরায় তোলা হয়েছে এই ছবি। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৬টা ৫৫ মিনিটে এই ছবি তোলা হয়েছে।
এই ছবি দেখে অনেকেরই যেন চোখের সামনে ঈশ্বর দর্শন হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি। কমেন্ট সেকশন কার্যত ভেসে যাচ্ছে। অপূর্ব সেই ছবি। একজন লিখেছেন, রসিকতা দূরে রেখে বলছি সঠিক সময়ে ক্য়ামেরার সাটার টিপলে কী হতে পারে সেটা এই ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সৌভাগ্য়ের ব্যাপার। সঠিক সময় সুন্দর ফটোগ্রাফি।
অপর একজন লিখেছেন ওহ! জাস্ট WOW!
অপর একজন লিখেছেন কী ছবি তুলেছেন ! এটাকে দেখানোর জন্য ধন্যবাদ।
প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন নেটনাগরিকরা।
প্রসঙ্গত এই যীশুখ্রীষ্টের মূর্তিটি বিশ্বের মধ্য়ে সবচেয়ে লম্বা যীশু খ্রীষ্টের মূর্তি। প্রায় ২০০০ ফুট উচ্চতায় বসানো রয়েছে এই মূর্তি। কর্কোভাডো পাহাড়ের উপর তৈরি হয়েছে এই মূর্তি। এই মূর্তিটি সপ্তম আশ্চর্যের মধ্য়ে অন্যতম। ৭০০ টন কংক্রিট দিয়ে তৈরি হয়েছে ওই মূর্তি। সেই মূর্তির উপরেই বিদ্যুতের ঝলকানি। সেই ছবিই ক্যামেরাবন্দি করেছেন তিনি। আর সেই ছবি দেখেই হতবাক নেট দুনিয়া। একী দেখছেন চোখের সামনে। যেন আকাশ থেকে নেমে আসা বিদ্যুৎের আলোয় জাগরিত হলেন ভগবান।
তবে এর আগেও ওই মূর্তির উপরে বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা গিয়েছে। ২০১৪ সালে বাজ পড়ে ওই মূর্তির বুড়ো আঙুল ভেঙে যায়। তবে পরবর্তী সময়ে সেই মূর্তির মেরামতি করা হয়। আর সেই মূর্তির উপরেই বিদ্যুতের ঝলকানি। আলোয় ভেসে যায় মূর্তির উপরের অংশ। যেন আকাশ থেকে বিদ্যুতের স্রোত। সেই স্রোত এসে মিশে গেল যীশুর মূর্তিতে।