টুলকিটকাণ্ডে তদন্তের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে টুলকিটের মতো বিষয়গুলিকে রাজনৈতিক 'প্রোপাগান্ডা' হিসেবে চিহ্নিত করে শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা সেই বিষয়গুলির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন, তাঁরা সেগুলি এড়িয়ে যেতে পারেন।
আইনজীবী শশাঙ্ক শেখর ঝায়ের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় শুনানিতে সোমবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এম আর শাহের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, এগুলি কোনও রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক 'প্রোপাগান্ডা'। 'যদি আপনার টুলকিট পছন্দ না হয়, তা এড়িয়ে যান।’
সম্প্রতি টুলকিট নিয়ে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে তরজা শুরু হয়েছিল। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, করোনাভাইরাস মোকাবিলার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের যে কৃতিত্ব, তা খাটো করতে এবং কেন্দ্রের লড়াইকে কলঙ্কিত করতে কংগ্রেস সেই টুলকিট তৈরি করেছে। মোদী সরকারকে কালিমালিপ্ত করাই কংগ্রেসের উদ্দেশ্য। যদিও বিজেপির সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় কংগ্রেস। পালটা কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, যে টুলকিট নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ভুয়ো। বরং রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে বিজেপিই সেই টুলকিট তৈরি করেছে বলে কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়।
সেই রাজনৈতিক তরজার মধ্যেই টুলকিটকাণ্ডে কংগ্রেসের ভূমিকা খতিয়ে দেখার জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন ঝা। পিটিশনে আর্জি জানানো হয়েছিল, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারা (রাষ্ট্রদ্রোহিতা), ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) বা বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) আওতায় কোনও অভিযোগ পাওয়া যায় কিনা, তা তদন্ত করে দেখা করে হোক। যদি তদন্তে তেমন কোনও অভিযোগের সারবত্তা পাওয়া যায়, তাহলে নির্বাচন কমিশনের তরফে কংগ্রেসের রেজিস্ট্রেশন বাতিলেরও দাবি করেছিলেন ঝা।