সোমবার দিল্লি হাইকোর্টে তরফে মিনিস্ট্রি অফ ফিনান্স অ্যান্ড মিনিস্ট্রি অফ হাউজিং অ্যান্ড আর্বান অ্য়াফেয়ার্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আধারের সঙ্গে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির নথিকে লিঙ্ক করার ক্ষেত্রে যে আবেদন করা হয়েছে তা নিয়ে জবাব দিতে হবে।
দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা ও বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রক ও আইন মন্ত্রকের কাছ থেকেও জবাব তলব করেছেন।
বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় গত ২০১৯ সালে এনিয়ে আবেদনপত্র পেশ করেছিলেন আদালতে। এদিকে গত বছরে বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রককে এই মামলায় পার্টি করতে হবে।
সোমবার এই মামলাটির শুনানির জন্য় আদালতে তোলা হয়। সেই সময় বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফে দেখা যায় রেজিস্ট্রি এনিয়ে উপাধ্যায়ের করা আবেদনের মধ্যে একাধিক ত্রুটিকে সামনে এনেছেন। এরপরই আদালত নির্দেশ দেয় যে ত্রুটিগুলির কথা বলা হচ্ছে সেগুলি সংশোধন করুন। আর সরকারি একাধিক বিভাগকে বলা হয়েছে তারা যাতে তাদের জবাব পেশ করে।
অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আদালতে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন এই মামলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে তুলে আনা হয়েছে।
এরপর ১৮ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছে। এদিকে উপাধ্যায়ের তরফে যুক্তি দেখানো হয়েছিল যে আধারের সঙ্গে সম্পত্তির হিসাব সংক্রান্ত নথি যুক্ত করা থাকলে প্রতারণার সুযোগ অনেকটাই কমবে। দুর্নীতি, কালো টাকা, বেনামি লেনদেন এগুলো অনেক কমে যাবে। তিনি জানিয়েছিলেন, সরকারকে এনিয়ে কর্তব্য পালন করতে হবে। কালো টাকা রোধ করতে , দুর্নীতি দমাতে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গেই বেনামি লেনদেন বন্ধে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে।
তিনি জানিয়েছিলেন, কোনও ব্যক্তির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি যদি আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকে তবে যে কোনও ধরনের অনিয়মকে রুখে দেওয়া অনেকটাই সম্ভব হবে।
তিনি জানিয়েছিলেন, যাদের কাছে কালো টাকা রয়েছে তাদেরকেও বাধ্য করতে হবে তারা যাতে তাদের সম্পত্তির পরিমাণ দাখিল করেন। এর মাধ্যমে বেনামী সম্পত্তির হদিশ পাওয়া সম্ভব হবে।
এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আধারের সঙ্গে সম্পত্তির লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক করা হলে সরকারের অনেক ক্ষেত্রে লাভ হবে। এর মাধ্য়মে আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থাও সাফ সুতরো হয়ে যাবে।