গো এয়ারের লিকুইডেশনের নির্দেশ দিল এনসিএলটি। এর আগে এই উড়ান সংস্থা ২০২৩ সালের মে মাসেই মাটিতে বসে পড়েছিল। এই আবহে গো এয়ারকে ঋণ দেওয়া সংস্থাগুলি আবেদন জানিয়েছিল যাতে এটির লিকুইডেশনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই গো এয়ারের ব্যবসা চিরকালের মত গুটিয়ে ফেলার নির্দেশ দিল এনসিএলটি। উল্লেখ্য, গো এয়ারের মাথায় ৬৫২১ কোটি টাকার বোঝা আছে। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, আইডিবিআই, ডয়চে ব্যাঙ্ক টাকা ধার করেছিল গো এয়ারকে। (আরও পড়ুন: WHO-কে বিদায়, অভিবাসন-নাগরিকত্ব নিয়ে একের পর এক অর্ডার জারি ট্রাম্পের)
আরও পড়ুন: সুপ্রিম নিষেধাজ্ঞার আগে পর্যন্ত ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কত কোটি বন্ড অনুদান পায় TMC?
এর আগে গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে গো ফার্স্টের পুনরুজ্জীবনের শেষ আশাতেও জল ঢেলে দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। সেই সময় বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রককে গো ফার্স্টের লিজ নেওয়া ৫৪টি বিমানের সবকটিরই রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। এর আগে স্পাইসজেট লিমিটেডের অজয় সিং এবং ইজ মাই ট্রিপ যৌথ ভাবে গো এয়ারের জন্য বিড করেছিলেন। তবে তবে দিল্লি হাই কোর্টের এই রায়ের ফলে কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায় যে গো এয়ার আর আকাশে উড়তে পারবে না। (আরও পড়ুন: ট্রাম্প আসতেই বন্ধ সিবিপি ওয়ান অ্যাপ, চোখে অন্ধকার দেখছেন বহু অভিবাসী)
আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে বাতিল জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার, কবে থেকে কার্যকর অর্ডার?
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল গো ফার্স্ট। আমেরিকান এরোস্পেস প্রস্তুতকারক প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনির সরবরাহিত ইঞ্জিনগুলিকে দোষারোপ করে ২০২৩ সালের ২ মে দেউলিয়া হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল গো ফার্স্ট। এর পরের দিন থেকেই তারা উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। দেউলিয়া হওয়ার সময় সমস্ত ঋণদাতাদের কাছে বিমান সংস্থাটির মোট দেনার পরিমাণ প্রায় ১১,৪৬৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে ব্যাঙ্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিক্রেতা এবং বিমান লিজ দেওয়া সংস্থাগুলির বকেয়া সামিল ছিল। (আরও পড়ুন: উঠে গেল নিষেধাজ্ঞা, টিকটককে ৭৫ দিনের লাইফলাইন দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প)
আরও পড়ুন: রাখলেন কথা, ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প
এর আগে স্বেচ্ছায় নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য ন্যাশনল কোম্পানি ল' ট্রাইবুনালের কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছিল গো ফার্স্ট কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটি জানায়, নগদের অভাবে যাত্রীদের উড়ান পরিষেবা দিতে ব্যর্থ তারা। সেই সময় গো ফার্স্টের কাছে মোট ৫৯টি বিমান ছিল এবং কর্মীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০০০। এনসিএলটি স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ বিবেচনা করে তার কর্পোরেট ইনসলভেন্সি রেজোলিউশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য গো ফার্স্টকে ৬০ দিনের বর্ধিত সময়সীমা মঞ্জুর করেছিল। আর এবার সংস্থার লিকুইডেশনের নির্দেশ দিল এনসিএলটি।