করোনা আক্রান্ত দেশের অভাবী মানুষ ও অসহায় পশুদের খাবারের সংস্থান করতে নিজের জমানো সব টাকা পুলিশকে দান করল হৃষিকেশের ১১ বছরের কিশোরী।
বাবর সঙ্গে থানায় এসে নিজের জমানো সব টাকা পুলিশকর্মীদের হাতে তুলে দিল কিশোরী আলিয়া চাওলা। তার কাণ্ড দেখে হতবাক থানার পুলিশকর্মীরা।
জমানো টাকার ভাঁড় পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে আলিয়া বলে, ‘কাকু, জানি না এতে কত টাকা আছে। তবে তুমি এটা ভেঙে সেই টাকা দিয়ে ভুখা মানুষ আর পশুদের খাবার কিনে দিও।’
দেরাদুন পুলিশের মুখপাত্র এসএসপি ধর্মেন্দ্র বিস্ত বলেন, ‘মহামারীর মোকাবিলায় আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছি যাতে জেলার কেউ অভুক্ত না থাকেন, বা খালিপেটে ঘুমোতে না যান। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই প্রচার করি। এর পর হৃষিকেশের মণিরাম রোডের বাসিন্দা অশোক চাওলা ও তাঁর মেয়ে আলিয়া তাঁদের সাধ্যমতো সাহায্য করেছেন। ছোট্ট আলিয়া তার জমানো সব অর্থ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।’
শুধু বলেই ক্ষান্ত হয়নি খুদে মেয়ে, তার জোরাজুরিতে বাধ্য হয়ে পোড়ামাটির ভাঁড়টি আলিয়ার সামনে ভাঙতে হয়েছে পুলিশকর্মীদের। তার ভিতরে জমানো ১০,১৪১ টাকার সবটাই খরচ করা হবে ক্ষুধার্তদের সেবায়, জানিয়েছেন বিস্ত।
করোনা সংক্রমণের বিভীষিকার মাঝে আলিয়ার এই অবদান মানবিকতার প্রতি নতুন করে আস্থা তৈরি করেছে, মনে করছেন পুলিশকর্মীরা।