তাঁর আর্থিক নীতি নিয়ে টোরি পার্টির সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ জমাট বাঁধছিল। বিরোধীরা ক্রমেই চাপে রেখেছিল তাঁকে। শেষমেশ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে লিজ ট্রাস ইস্তফা দিলেন। মসনদে বসার এক মাসের মধ্যেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে লিদের সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে এই ইউরোপীয় দেশের রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে।
সদ্য তাঁর অর্থ মন্ত্রীকে পদচ্যূত করেছিলেন লিজ। সেই জায়গায় চ্যান্সেলার হিসাবে তাঁর বিরোধী জেরেমি হান্টকে নিয়ে এসে মাস্টারস্ট্রোক দেওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে, যাবতীয় রাজনৈতিক চাল বিফলে গিয়ে শেষমেশ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাককে নিয়ে। বরিস পরবর্তী সময়ে ঋষি সুনাক ছিলেন একমাত্র লিজ ট্রাসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী। ফলে এবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর মসনদে কে বসবেন, তা নিয়ে কাউন্টডাউন শুরু। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের ৮১,৩২৬ জন ভোট দিয়ে সমর্থন জানিয়েছিলেন লিজ ট্রাসকে। অন্যদিকে, ঋষি সুনাকের সমর্থন ছিল ৬০,৩৯৯ জনের। সেই জায়গা থেকে এবার ব্রিটেনের রাজনৈতিক আঙিনায় কী ঘটতে পারে তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনের রাজনীতিতে ঝড় এসে পড়ে বরিস জনসনের দুর্নীতি প্রসঙ্গে। যা নিয়ে খো বরিসেরই এককালে প্রিয় পাত্র ঋষি সুনাক সরব হন। অনেকেই ঋষির সমর্থনে এগিয়ে আসেন। বরিসের সঙ্গে ঋষির সংঘাত কার্যত জনসমক্ষেই বেরিয়ে পড়ে। এরপরই বরিস জনসনকে পদত্যাগ করতে হয় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে। পরবর্তীকালে নির্দিষ্ট ব্রিটিশ নিয়ম অনুযায়ী কনসারভেটিভ পার্টির ভোটে জিতে তখতে বসেন লিজ ট্রাস। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলের শুরুতেই ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু হয়। ফলে ১০ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষিত হয়। এই পর্বের পরই রাজনীতির আসল চ্যালেঞ্জে নামেন ট্রাস। তবে তাঁর আর্থিক নীতিই কার্যত তাঁকে পিছিয়ে দিয়েছে এই চ্যালেঞ্জে, এমনই দাবি বহু রাজনীতিবিদের।