সোমবার (৮ নভেম্বর) ছিল লালকৃষ্ণ আডবানির ৯৪ তম জন্মদিন। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ অনেক প্রবীণ নেতা-রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। তাঁর বাড়িতে সবাই মিলে আড্ডা দেন। চলে কেক কাটা ও মিষ্টিমুখ। বহু দশক ধরে তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবনে এল কে আডবানি ছিলেন দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে একজন।
২০০৯ সালে এলকে আডবানিকে এনডিএ-র প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নির্বাচনে সাফল্য পাননি। এরপরে, ২০১৪ সালে তাঁর জায়গায় নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও প্রধানমন্ত্রী হতে না পারার বিষয়ে তিনি প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। কিন্তু তাঁর জীবনের অন্য একটি ইচ্ছা নিয়ে আফসোস রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন এল কে আডবানি। ২০১৭ সালে তাঁর এই অপূর্ণ ইচ্ছার কথা সরাসরি জানান প্রবীণ নেতা। কী সেই ইচ্ছা?
লালকৃষ্ণ আডবানি ১৯২৭ সালে অবিভক্ত ভারতের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে যা পাকিস্তানের অন্তর্গত। ২০১৭ সালে এক অনুষ্ঠানে দেশভাগ এবং সিন্ধ প্রদেশে পাকিস্তানের ভাগে পড়া নিয়ে তাঁর বেদনা প্রকাশ করেন আডবানি। ১৫ জানুয়ারির ওই ইভেন্টে তিনি বলেন, 'সিন্ধ যুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ভারত অসম্পূর্ণ।' তিনি জানান, দেশভাগের সময়ে যখন শুনেছিলেন যে সিন্ধ এবং করাচি আর ভারতের অংশ থাকবে না, তখন তিনি খুবই ব্যথিত হন। তিনি বলেন, 'শৈশবে আমি সিন্ধতে আরএসএসে খুব সক্রিয় ছিলাম। এটা আমার জন্য খুবই দুঃখজনক ছিল।'
সিন্ধি পরিবারে জন্ম নেওয়া এলকে আদবানি দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন। অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক ইনিংস প্রায় ছয় দশক লম্বা। কংগ্রেসের বাইরে সরকার গঠনে এবং বিরোধী শক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।
।