বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Effects of Quick Commerce: মোবাইল অ্য়াপে চটজলদি ঘরে বসেই মিলছে সমস্ত পণ্য, মাশুল গুনছে শহুরে মুদির দোকান

Effects of Quick Commerce: মোবাইল অ্য়াপে চটজলদি ঘরে বসেই মিলছে সমস্ত পণ্য, মাশুল গুনছে শহুরে মুদির দোকান

প্রতীকী ছবি

এফএমসিজি-র জন্যই নাকি পাড়ার মুদির দোকানের ব্যবসা মার খাচ্ছে। সত্যিই কি তাই? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু এই দাবি পুরোপুরি মানছেন না। যদিও এক্ষেত্রে শহর, গ্রাম ও মফঃস্সলের মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে।

এফএমসিজি, অর্থাৎ - ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস! যার গোদা বাংলা করলে বোঝায়, গ্রাহকের কাছে সবথেকে দ্রুত গতিতে তাঁর প্রয়োজনীয় যেকোনও সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া।

আজকাল আমাদের স্মার্টফোনে যে সমস্ত পণ্য বিক্রি সংক্রান্ত অ্যাপগুলি রয়েছে, সেগুলির ব্যবসা বাড়ানোর অন্যতম মন্ত্রই হল এই এফএমসিজি। আপনি অনলাইনে অর্ডার করলেন, টাকা পয়সা মিটিয়ে দিলেন, আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসপত্র একেবারে আপনার দুয়ারে পৌঁছে গেল।

এই নয়া ব্যবস্থায় গৃহস্থের সুবিধা বাড়লেও একটি অভিযোগ মাঝেমধ্যেই ওঠে। বলা হয়, এই এফএমসিজি-র জন্যই নাকি পাড়ার মুদির দোকানের ব্যবসা মার খাচ্ছে। সত্যিই কি তাই? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু এই দাবি পুরোপুরি মানছেন না। যদিও এক্ষেত্রে শহর, গ্রাম ও মফঃস্সলের মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, খুব স্বাভাবিকভাবেই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই পরিবর্তন এসেছে। তাতে পাড়ার মুদিখানা দোকানগুলিকে এক নতুন প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু, তারা যে একেবারে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে গিয়েছে, এখনই অন্তত এমনটা বলার সময় আসেনি।

এই প্রসঙ্গে ইকোনমিক টাইমস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কী বলা হয়েছে তাতে? তাতে বলা হয়েছে, সারা ভারতে বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ মুদিখানা দোকান রয়েছে। যে দোকানগুলি আজও গৃহস্থের রোজের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জোগানদার হিসাবে প্রধান ভূমিকা পালন করে চলেছে।

শুধু তাই নয়, একেবারে মেট্রো সিটিগুলি বাদ দিলে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চল - এফএমসিজি সংস্থাগুলিরও মূল ভিত্তি কিন্তু এই পাড়ার মুদিখানা দোকানগুলিই।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে পার্লে প্রোডাক্টসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মায়াঙ্ক শাহকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, 'অদূর ভবিষ্যতে অন্তত খুচরে বিক্রির ক্ষেত্রে মুদিখানা দোকানগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যেতে আমরা দেখছি না।'

যদিও মায়াঙ্ক মানছেন, 'হ্যাঁ, গ্রাহকের কাছে দ্রুত পণ্য পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি ক্রমশ আরও প্রসারিত হচ্ছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত আমাদের বার্ষিক বিক্রির ৮৫ থেকে ৮৭ শতাংশই হয় পাড়ার মুদিখানা দোকানগুলির মাধ্যমে। তাই এই দোকানগুলি আজও আমাদের মতো সংস্থার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের এদের কথা ভাবতে হয়।'

কিন্তু, মেট্রো শহরগুলির ছবিটা অনেকটাই আলাদা। এত দিন যাঁরা মুদির দোকান দিয়ে সংসার চালিয়ে এসেছেন, আজ তাঁদেরই রুজিরুটির বিকল্প ভাবনা ভাবতে হচ্ছে।

যেমন, বেঙ্গালুরুর জয়রাম হেগড়ের কথাই ধরা যাক। তাঁর দু'টি মুদির দোকান ছিল। এখন আর তিনি নিজে সেগুলো সরাসরি চালাচ্ছেন না। বদলে সেই দু'টি দোকানই জেপটোর ডার্ক স্টোর হিসাবে বদলে ফেলেছেন। প্রসঙ্গত, ডার্ক স্টোর হল একটি গুদামের মতো। যেখানে এফএমসিজি সংস্থাগুলি সমস্ত পণ্য মজুত রাখে। তারপর ক্রেতাদের অর্ডার অনুসারে সেখান থেকে পণ্য সংগ্রহ করে ডেলিভারি এজেন্টরা তা ক্রেতার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে আসে।

এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে জয়রাম বলেন, 'আমার কাছে আর কোনও উপায় ছিল না। আমি এখন অন্তত কিছু হলেও রোজগার করতে পারছি। সময়ের সঙ্গে দ্রুত নিজেকে বদলাতে হবে। আপনার কাছে যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য টিকে থাকার মতো বিকল্প ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে এখনই নিজেকে বদলে ফেলতে হবে।'

সমস্য়া এখানেও রয়েছে। যেমন নয়ডার বিপিন কুমারের কথাই ধরা যাক। তাঁর নিজস্ব কোনও দোকান ঘর নেই। মোটা টাকা ভাড়া দিয়ে মুদিখানা দোকান চালান তিনি। প্রশ্ন হল, বিপিনের মতো ব্যবসায়ীরা কী করবেন? কারণ, তাঁরা তো আর ওই ভাড়ার দোকান ঘর কোনও এফএমসিজি সংস্থাকে গুদাম হিসাবে ব্যবহার করতে দিতে পারবেন না।

বিপিন বলেন, 'যাঁদের নিজেদের দোকান ঘর আছে, তাঁরা কোনওভাবে তবু সামলে নিচ্ছেন। আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের সামনে কোনও বিকল্প উপায় নেই। দোকান ঘরের ভাড়া বাড়ছে। কিন্তু, আমাদের রোজগার কমছে। আমাদের এই ব্যবসা বন্ধ করে অন্য কিছু করতে হবে।' প্রসঙ্গত, বিপিনকে প্রতি মাসে তাঁর দোকান ঘরের ভাড়া বাবদ ৪০ হাজার টাকা দিতে হয়!

উপরন্তু, এফএমসিজি সংস্থাগুলি যেভাবে ক্রেতাদের লোভনীয় সব অফার এবং ছাড়া দেয়, তার সঙ্গেও মেট্রো শহরের মুদির দোকানের ব্যবসায়ীরা পাল্লা দিতে পারছেন না। ফলে তাঁদের সমস্যা আরও বাড়ছে।

পরবর্তী খবর

Latest News

সারা বছরই খেতে পারবেন মটরশুঁটি! ফ্রিজে এভাবে রাখলে নষ্ট হবে না আর বাংলাদেশ বইমেলায় তাঁর বই ঘিরেই তাণ্ডব! ক্ষুব্ধ তসলিমা বললেন, ‘ভয় পাচ্ছে যদি…’ একদিকে নিক্কির সঙ্গে ব্রেকআপ, অন্যদিকে রণবীরের প্রেমে পাগল রোহিনী, কে এই ভক্ত? ‘নূপুর মদ্যপান করে আমার বিছানায় শুয়ে আমাকেই আদর…’ভগ্নিপতির কাণ্ড ফাঁস জুনেদের এই উপায় সেরা, ত্বকের ২০ বছরের পুরনো দাগ তুলে দিতে পারে চন্দন গুঁড়ো! স্প্যাম কল-মেসেজ পাঠালে ১০ লক্ষ পর্যন্ত জরিমানা! বিপাকে টেলিকম সংস্থাগুলি Car Heater Benefits: গাড়িতে হিটার ব্যবহারের সঠিক উপায় কি জানেন? আরসিবির সমর্থকরা সমালোচনা এবং প্রশংসা, দুটোই বাকিদের থেকে বেশি করে: স্মৃতি ফোন ঘাঁটাঘাঁটি শিশুদের মধ্য়ে বাড়িয়ে দিতে পারে ADHD-র হার! এখন থেকেই মানুন এগুলি আমায় ‘কিং’ বলে ডাকবেন না- Champions Trophy 2025-র আগে মিডিয়ার কাছে বাবরের অনুরোধ

IPL 2025 News in Bangla

জিও, স্টার মেলায় কপাল পুড়ল ক্রিকেট ভক্তদের, গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে দেখতে হবে IPL চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিজয়ী দল পাবে IPL চ্যাম্পিয়নদের সমান অর্থ, প্রাইজ মানি জানাল ICC অধিনায়কত্ব প্রত্যাখ্যান করে কি পতিদারের নাম প্রস্তাব করেছিলেন কোহলি? রিপোর্ট- প্রকাশ্যে IPL 2025-এর সূচি,প্রথম ম্যাচেই নামছে KKR, প্রতিপক্ষ কে জানেন? কোহলির থেকে শিখতে পারব… নতুন ভূমিকায় আত্মবিশ্বাসী পতিদার IPL 2025: RR স্পিনিং রত্নদের উজ্জ্বল করতে যুক্ত হলেন দ্রাবিড়ের প্রাক্তন সতীর্থ এটি বড় দায়িত্ব… রজত অধিনায়ক হওয়ার পর মুখ খুললেন কোহলি RCB Captain Announced: ফিরলেন না কোহলি, আইপিএলে আরসিবিকে নেতৃত্ব দেবেন পতিদার বিরাট কোহলি নাকি অন্য কেউ? IPL 2025-এ RCB-র অধিনায়ক হবেন কে? সামনে এল বড় আপডেট দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টের সাউদার্ন ব্রেভ দলের মালিকানা ধরে রাখল GMR গ্রুপ

Copyright © 2025 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.