বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > অর্ধনগ্ন করে পুলিশ স্টেশনে চলেছে সাংবাদিক সহ ৮ জনকে অত্যাচার, ভিডিয়ো তুলে কটাক্ষ! নেপথ্যে উঠছে এই নেতার নাম

অর্ধনগ্ন করে পুলিশ স্টেশনে চলেছে সাংবাদিক সহ ৮ জনকে অত্যাচার, ভিডিয়ো তুলে কটাক্ষ! নেপথ্যে উঠছে এই নেতার নাম

সাংবাদিকদের মুখোমুখি পুলিশ কর্তা মনোজ সোনি। 

এসপি মুকেশ শ্রীবাস্তব এদিন জানিয়েছেন যে, কোতওয়ালি পুলিশ স্টেশনের স্টেশন ইনচার্জ মুকেশ সোনি ও সাবইনস্পেক্টর অভিষেক সিং পারিহারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে চলবে তদন্ত। এসপি মুকেশ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, 'বিষয়টির তদন্ত করছেন অ্য়াডিশনাল সুপারিন্টেডেন্ট অমিত সিং। আমরা তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কোনও মন্তব্য করব না।'

ঘটনা মধ্যপ্রদেশের। সেখানে কোতওয়ালি পুলিশ স্টেশনের সাব ইনস্পেক্টর ও স্টেশন ইনচার্জকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ৮ জনকে অর্ধনগ্ন করে প্যারাড করানো, মারধর সহ তাঁদের ভিডিয়ো তুলে ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। এই ৮ জনের মধ্যে রয়েছেন এক স্থানীয় সাংবাদিক। জানা গিয়েছে, এই সাংবাদিক স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে কিছু প্রশ্ন করেন পুলিশকে, যার পরই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। তারপরই ঘটে এমন কাণ্ড। যদিও স্থানীয় ওই নেতা তথা বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লা পাল্টা অভিযোগ পেশ করেছেন এক শিল্পীর করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে।

এসপি মুকেশ শ্রীবাস্তব এদিন জানিয়েছেন যে, কোতওয়ালি পুলিশ স্টেশনের স্টেশন ইনচার্জ মুকেশ সোনি ও সাবইনস্পেক্টর অভিষেক সিং পারিহারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে চলবে তদন্ত। এসপি মুকেশ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, 'বিষয়টির তদন্ত করছেন অ্য়াডিশনাল সুপারিন্টেডেন্ট অমিত সিং। আমরা তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কোনও মন্তব্য করব না।' এদিকে স্থানীয় ইউটিউব চ্যানেলের সাংবাদিক কনিষ্ক তিওয়ারির অভিযোগ করেছেন, তাঁকে ও আরও সাতজনকে পুলিশ স্টেশন থেকে এসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ স্টেশনের ভিতর তাঁদের অর্ধনগ্ন করে প্যারাড করানো হয়। সেই অবস্থার ভিডিও ও ফটোগ্রাফ তুলে তা নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করা হয়েছে।

কনিষ্ক বলেন, 'একডজন স্থানীয় আর্টিস্ট ২ রা এপ্রিল বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তাঁরা সিধি পুলিশ স্টেশনে শিল্পী নীরজ কুন্দরের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান। নীরজের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লা, তাঁর ছেলের বিষয়ে অবমাননাজনক কথা বলেছেন নীরজ। তা বলেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ঘটনা কভার করার সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আমিও সেখানে উপস্থিত ছিলাম। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে প্রশ্ন করা হলে তারা রেগে যায়। মুকেশ সোনি সেই সময় একটি ফোন পান। আর হঠাৎই আমাদের মারধর করা হয়। সেকশন ১৫১, ১৫২, ৫০৪-এর আওতায় আমাদের গ্রেফতার করা হয়।'

সাংবাদিক কনিষ্ক তিওয়ারির অভিযোগ, ২ টো নাগাদ তাঁদের পুলিশ কর্তা মুকেশ সোনি পোশাক খুলতে বলেন। কনিষ্ক বলছেন,'আমাদের অর্ধনগ্ন করে প্যারাড করানো হয়। সেই সময় এসআই অভিষেক সিং গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করেন। তোলা হয় ছবি। আমাদের মারধর করা হয়, হুমকি দেওয়া হয়, বিজেপি বিধায়ক বা পুলিশের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে বড়সড় পরিণতির মুখে পড়তে হবে। বাকি পুলিশ কর্মীরা আমাদের ভ্যাঙাচ্ছিলেন, সকলে ঠাট্টা করছিলেন।'

এদিকে, গোটা ঘটনায় যাঁর নাম উঠে আসছে, সেই বিজেপি বিধায়ক বলছেন কেদারনাথ শুক্লা বলছেন, 'ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের মাধ্যমে আমায়, আমার ছেলে মেয়েসহ আমার পরিবারের সদস্যদের মানহানি করা হচ্ছে। একজন ক্রমাগত আমাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও অশ্লীল মন্তব্য করছিলেন। আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি। নীরজ কুন্দরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে, কিছু লোক বিক্ষোভ করছিল এবং আমি জানি না পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কী ঘটেছিল। এমনকি আমি কাউকে বহিষ্কার করাকে সমর্থন করি না এবং এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত চাই।'

 

বন্ধ করুন