আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তারপর কীভাবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে কেন্দ্রের কোনও ধারণা নেই। এমনটাই বললেন কংগ্রেস অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী।
আরও পড়ুন : COVID-19 Updates: করোনা আক্রান্তদের কিডনি-ফুসফুস-মস্তিষ্কে জমাট বাঁধছে রক্ত, উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা
বৃহস্পতিবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সোনিয়া বলেন, 'বর্তমানের লকডাউনের থেকেও আরও বেশি বিধ্বংসী হবে ওইদিনের (লকডাউনের শেষদিন) পরের অবস্থা।'
আরও পড়ুন : COVID-19 Updates: এক-তৃতীয়াংশ করোনা আক্রান্তের হদিশ দেশের তিন শহরে
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি জানান, লকডাউনের জেরে বিশেষত চাষি, কৃষি শ্রমিক, পরিযায়ী শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক ও অংসঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক-সহ সমাজের সবাই সমস্যার মুখে পড়েছেন। বাণিজ্য, শিল্পের গতি কার্যত রুদ্ধ ও কোটি কোটি মানুষের জীবিকা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন সোনিয়া।
আরও পড়ুন : অনেক দিন থাকবে করোনাভাইরাস, আত্মতুষ্টি রুখতে সতর্ক করল WHO
প্রথম দফার লকডাউন শুরুর পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সোনিয়ার ছ'টি চিঠি লেখার বিষয়টিও বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ওঠে। সোনিয়া বলেন, 'দুঃখজনকভাবে তারা (কেন্দ্র) শুধু আংশিক ও বাজেভাবে কাজ করেছে। কেন্দ্রের থেকে যে সহানুভূতি, মমত্ব ও তৎপর আশা করা হয়, তা স্পষ্টতই অনুপস্থিত।'
আরও পড়ুন : মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও টুইটে কেন 'মাননীয়' বলেনি কলকাতা পুলিশ, চটলেন বাবুল
ছেলে রাহুলের মতো সোনিয়াও বেশি সংখ্যক নমুনা পরীক্ষার উপর জোর দেন। তিনি বলেন, 'আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বারবার আর্জি জানিয়েছি যে নমুনা পরীক্ষা, চিহ্নিতকরণ ও কোয়ারেন্টাইনের বিকল্প কিছু নেই। দুঃখজনকভাবে পরীক্ষা এখনও কম। টেস্টিং কিটও চাহিদার তুলনায় কম এবং নিম্নমানের। আমাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুপমেন্ট (পিপিই) দেওয়া হচ্ছে, তবে তার সংখ্যা কম ও নিম্নমানের।'