করোনার মধ্যেই ধীরে ধীরে অফিস-কাছারি খোলার কথা ভাবছে প্রশাসন। লকডাউন শিথিল হলেই বিশেষত গ্রিন জোনে সম্ভবত খুলবে অনেক অফিস। কিন্তু সেখানে যদি আচমকা কোনও ব্যক্তির শরীরে করোনা ধরা পড়ে, তাহলে কি পুরো অফিস বন্ধ করে দিতে হবে? অথবা কোনও ব্যক্তির করোনা হলে তিনি যেই বিল্ডিংয়ে থাকেন, সেটা কি সম্পূর্ণ ভাবে সিল করতে হবে? এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরামর্শ যে শুধু যেই ফ্লোরে সেই ব্যক্তি ছিলেন সেটি ও ব্যালকনি, লিফটের মতো কমন এরিয়াগুলিকে জীবানুমুক্ত করলেই হবে। পুরো বাড়িটি বন্ধ করার প্রয়োজন নেই, বলেই জানান লব আগরওয়াল, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব।
কোনও ব্যক্তির করোনা ধরা পড়লে তার সঙ্গে সংস্পর্শে আসা সবাইকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে। একই সঙ্গে স্থানীয় স্বাস্থ্য অধকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তারা যদি মনে করেন যে বাড়িটি ব্যবহারের জন্য নিরাপদ, তাহলে সমস্যা নেই। কিন্তু যদি তারপরেও নতুন কেস সেই বাড়ি থেকে আসে, তাহলে সেই জায়গাটি বন্ধ করে সাফাই করতে হবে।
তবে বাড়িটির স্ট্রাকচার কেমন, তার ওপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। যদি অনেকগুলি ফ্লোর ও তলা থাকে, কোনও ভাবেই বিল্ডিং বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু কোনও কারণে যদি ইনফেকশনের প্রাথমিক সোর্সকে না খুঁজে পাওয়া যায়, বা সতর্কতা সত্ত্বেও কেসের সংখ্যা বাড়তে থাকে, তাহলে অগত্যা সিল করে দিতে হবে তেমন বাড়ি।