পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের দৈনিক প্রয়োজনীয়তার বিষয়টির দেখভাল করছে কেন্দ্র। সেজন্য লকডাউনের সময় শ্রমিকদের নিজেদের ভিটেয় ফেরার দরকার নেই। সুপ্রিম কোর্টে এই কথা জানাল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন : Lockdown 2.0: কীভাবে পাবেন ‘স্নেহের পরশ’, দেখে নিন আবেদনের প্রক্রিয়া ও কী কী নথি লাগবে
মজুরি-সহ পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ছাড়ের দাবিতে শীর্ষ আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেন আইনজীবী আলাখ অলোক শ্রীবাস্তব। সেই মামলায় করোনার সংক্রমণ রুখতে সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্র।
আরও পড়ুন : Lockdown 2.0: মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের আগে করোনা যুদ্ধে রাজ্যগুলির প্রশংসা মোদীর
স্বরাষ্টসচিব অজয় ভাল্লার জমা দেওয়া সেই রিপোর্টে জানানো হয়, অসংগঠিত ক্ষেত্রে নিম্ন আয়বিশিষ্ট মানুষদের সমস্যা দূর করতে 'প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনা'-র অধীনে নগদ অর্থ পাঠানো হচ্ছে। আগে ইপিএফওয়ের টাকা তোলার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। গত ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ১,৪৯,৮৯১ সদস্য সেই সুবিধা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন : Lockdown 2.0: তেসরা মে'র পরও লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে এই রাজ্যগুলি
যে অস্থায়ী ছাউনিগুলিতে পরিযায়ী শ্রমিকরা থাকছেন, সেখানে মনস্তাত্বিক-সামাজিক বিষয়গুলির দেখভাল করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। মানসিক স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলির কাউন্সেলররা সেখানে যাচ্ছেন। হলফনামা আকারে পেশ করা সেই রিপোর্টে বলা হয়, 'সরকারের পদক্ষেপ বিবেচনা করে পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মস্থল থেকে ভিটে ও গ্রামে ফেরার কোনও প্রয়োজন নেই। যেখানেই কাজ করুন না কেন, তাঁদের দৈনন্দিন চাহিদা-প্রয়োজনীয়তার দেখভাল করা হচ্ছে। গ্রামের বাড়িতেও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের দেখভাল করা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন : Covid-19 Updates: ভাসমান ধূলিকণার সঙ্গে মিশতে পারে করোনাভাইরাস
রিপোর্টে কেন্দ্রের দাবি, লকডাউনের সময় বড় সংখ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিটেয় ফিরলে সরকারের প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপগুলির উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। হলফনামায় বলা হয়েছে, 'রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ৩৭,৯৭৮ টি ক্যাম্প তৈরি করেছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং আসল এনজিওগুলি। সেই ক্যাম্পগুলিতে প্রায় ১৪.৩ লাখ মানুষ রয়েছেন। এছাড়া আরও ২,২২৫ টি খাবার বিলির ক্যাম্প খোলা হয়েছে। যেখানে ১.৩৪ কোটি মানুষকে খাবার দেওয়া হচ্ছে।'
আরও পড়ুন : সভ্য সমাজের প্রতীক হবে মাস্ক, দেরি হলেও যত্রতত্র থুতু ফেলার অভ্যেস ছাড়ুন : মোদী
পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতে ভাড়া নিয়ে কোনও সমস্যার মুখে পড়তে না হয়, সেজন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারকে উপযুক্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। যে পরিযায়ী শ্রমিক ও অন্য গরীব ব্যক্তিরা ভাড়াবাড়িতে রয়েছেন, তাঁদের ভাড়া দেওয়ার জন্য যাতে জোর না করা হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'যদি কোনও বাড়ির মালিক সেই নির্দেশ অমান্য করেন, তাহলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
আরও পড়ুন : Lockdown 2.0: কোন দোকান খুলবে, কোনগুলি বন্ধ রাখতে হবে - দেখে নিন কেন্দ্রের সাম্প্রতিক নির্দেশ
পাশাপাশি, শীর্ষ আদালতের গত ৩১ মার্চের নির্দেশ অনুযায়ী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীনে একটি তথ্য যাচাই ইউনিটও তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'কেন্দ্রীয় সরকারের চেষ্টার জন্য আরও অনেক দেশের তুলনায় ভারতে সংক্রমণ অনেক কম।'