আগামী ৩ মে লকডাউন শেষের পরও রেল এবং উড়ান পরিষেবায় বিধিনিষেধ জারি থাকবে। নাম গোপন রাখার শর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে যোগ দেওয়া কমপক্ষে তিনজন এই কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশে লকডাউনের মাঝে ইমামের অন্ত্যেষ্টিতে লাখো ভক্ত, নীরব দর্শক পুলিশ
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের পৌরহিত্যে শনিবারের বৈঠকে হাজির ছিলেন বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, অসামরিক পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী-সহ অন্যান্যরা। এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, বৈঠকে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয় যে ১৫ মে থেকে উড়ান পরিষেবা চালু করা যেতে পারে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য এরকম বিভিন্ন প্রস্তাব ও সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন : মৃত ৫০৭, আক্রান্ত ১৫৭১২, লকডাউন আংশিক ওঠার আগের দিন চিন্তা বাড়াচ্ছে তিন রাজ্য
বৈঠকে হাজির একজন বলেন, 'উড়ান পরিষেবা চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অসামরিক বিমানমন্ত্রী জানান, বিমানগুলি পার্কিংয়ে থাকার ফলে খরচও পড়ছে।' তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি হরদীপ। ইতিমধ্যে এয়ার ইন্ডিয়া আগামী ৪ মে থেকে অবশ্য নির্বাচিত কয়েকটি ঘরোয়া রুটে বুকিং শুরু করে দিয়েছে। তারপর রাতের দিকে একটি টুইটবার্তায় বিমানমন্ত্রী জানান, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা চালুর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন : COVID-19 Updates: দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত একই পরিবারের ৩১, ছিল না কোনও উপসর্গ
এক আধিকারিক বলেন, 'কবে থেকে রেল ও উড়ান পরিষেবা চালু করা হবে, তার নির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ আলোচনা হয়নি। হয়তো এটা বলা ঠিক হবে, সেটার জন্য (পরিষেবা চালু) সময় লাগবে। তবে তা অবশ্যই ৩ মে ছাড়িয়ে যাবে। এটিকেই সম্ভবত সবার শেষে অনুমতি দেওয়া হবে।'
আরও পড়ুন : দিল্লিতে আপাতত শিথিল নয় লকডাউন, জানালেন কেজরি
তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মোদী। এক মন্ত্রী জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালানোর বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, 'উদাহরণস্বরূপ তিরুবন্তপুরম থেকে ভুবনেশ্বর পর্যন্ত একটি নন-স্টপ ট্রেন চলতে পারে।'
আরও পড়ুন : ধোনিই সর্বকালের সেরা অধিনায়ক, স্বীকৃতি ব্রিটিশ তারকার
বৈঠকের পর একটি টুইটবার্তায় রাজনাথ বলেন, 'মানুষ যে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা মেটানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মানুষকে স্বস্তি দিতে মন্ত্রীদের ভূমিকা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা করা হয়েছে।' লকডাউন শিথিল করে কয়েকটি কাজকে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্তেরও প্রশংসা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এক আধিকারিক বলেন, 'মানুষের কষ্ট লাঘব করতে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ প্রকল্পের আওতায় ৩৩২.৫ মিলিয়ন উপভোক্তার জন্য ৩১,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়ার বিষয়টির প্রশংসা করে মন্ত্রিগোষ্ঠী।'
আরও পড়ুন : করোনার জেরে মাঝপথেই বাতিল আই লিগ, তবু যে কারণে চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান
মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন বৈঠকে উপস্থিত অপর মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। বলেন, 'আমরা সবাই খুশি যে কারোর আগেই লকডাউন ঘোষণা করার দূরদৃষ্টি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।' পাশাপাশি কেন্দ্রীয় খাদ্য়মন্ত্রী দাবি করেন, দেশে খাদ্য ও অত্যাবশকীয় পণ্যের কোনও অভাব নেই।