দেশের প্রায় ৩২৫টি জেলায় করোনা রোগী নেই। সেখানে ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। দেশের মোট অর্থনীতির ৪৫ শতাংশ সেদিন থেকে চালু হয়ে যাবে বলেই অর্থনীতিবিদরা বলছেন। যেগুলি গ্রিন জোন ও অন্যান্য জায়গা যেগুলি হটস্পট নয় সেখানে সীমিত আকারে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ চালু করার কথা লকডাউন বৃদ্ধির দিনই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
কিন্তু সম্পূর্ণ স্তব্ধ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ফের দ্বিতীয় দফায় স্টিমুলাস দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।বিশ্ব ব্যাঙ্কের একটি সভায় সীতারামন জানিয়েছেন যে খুব শীঘ্রই গরীবদের স্বার্থে আরও কিছু সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে কেন্দ্র। একই সঙ্গে শিল্পমহলের জন্যেও থাকবে বিভিন্ন ছাড়ের ঘোষণা। ইতিমধ্যেই ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ দিয়েছে কেন্দ্র। তবে তা যথেষ্ট নয় বলেই দাবি শিল্পমহলের।
সভায় এযাবত্ কী কী করা হয়েছে, সেই কথাও বলেন নির্মলা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নেওয়া সিদ্ধান্তেরও প্রশংসা করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানান যে ভারত গরীব দেশদের ওষুধ সাপ্লাই করছে ও করেও যাবে। অন্যদিকে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন ২০ তারিখ থেকে যে লকডাউন শিথিল হচ্ছে, তার সুবিধা পাবে মূলত গ্রামীন অর্থনীতি ও কৃষিক্ষেত্র। নোমুরার অর্থনীতিবিদ সোনাল ভার্মা জানিয়েছেন যে দেশের ৪৫ শতাংশ অর্থনীতি ২০ এপ্রিল খুলে যাবে।
তবে দেশের ১৭০টি হটস্পট জোনে মূলত ৩৭ শতাংশ জিডিপির উত্স। তাই এখানে কোনও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু না হওয়ার প্রভাব থাকবেই সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর। মূলত কৃষি, ই কমার্স, ছোটো কলকারখানা কোভিড মুক্ত এলাকায়, আইটি সহ ১৬টি বিভিন্ন শিল্পকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
ভার্মার মতে সাত সপ্তাহের লকডাউনে মোট জিডিপির সাত শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে ভারতের। বার্কলের হিসাব অনুযায়ী লকডাউনের প্রতি সপ্তাহে ভারতের ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এই অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার শূন্য হবে বলেও সংস্থার পূর্বাভাস। তাই ২০ এপ্রিল অর্থনীতি আংশিক ভাবে শুরু হলেও আগামী দিনগুলি খুব কঠিন হবে, তা বলেই দেওয়া যায়।