লক্ষ্য, গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা ও কর্মসংস্থানে তৈরি। সেজন্য সোমবার থেকে দেশের কিছু এলাকায় কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করা হল। কয়েকটি শিল্পক্ষেত্রকেও কাজ শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : New Tax Rate vs Old Tax Rate with deductions- স্বনিযুক্তদের উপার্জনের ওপর কোন নিয়মে TDS কাটবে?
কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (এসইজি) কয়েকটি উৎপাদনকারী সংস্থা ও কলকারখানা সোমবার থেকে কাজ শুরু করতে পারছে। কোন কোন সংস্থাগুলি সেই তালিকায় রয়েছে, তা দেখে নিন -
১) গ্রামীণ এলাকায় যে কলকারখানা ও শিল্প সংস্থা আছে। অর্থাৎ পুরনিগম বা পুরসভার বাইরে অবস্থিত হবে সেই কলকারখানা।
২) বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও রফতানিজাত দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্পগুলি কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট ও টাউনশিপগুলিও সচল থাকতে পারবে।
৩) ফার্মাকিউটিক্যালস, মেডিক্যাল ডিভাইস ও সেগুলির কাঁচামাল-সহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের কারখানা।
৪) গ্রামীণ এলাকায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প। অর্থাৎ পুরনিগম বা পুরসভার বাইরে অবস্থিত।
৫) যে কারখানাগুলির কাজ সর্বদা চালু রাখতে হয় ও সেগুলির জোগান।
আরও পড়ুন : Income Tax Filing: আয়কর রিটার্নের সময়সীমা বৃদ্ধির পর সহজ-সুগম ফর্মে সংশোধন কেন্দ্রের
৬) তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের হার্ডওয়্যার উৎপাদন।
৭) সোমবার থেকে কয়লা, খনিজ উত্তোলন, সেগুলির পরিবহন, বিস্ফোরক জোগান ও খননকার্য চালু করার অনুমতি রয়েছে।
৮) প্যাকেজিং সামগ্রীর উৎপাদন।
৯) পাট শিল্প চালু রাখা যাবে। তবে বিভিন্ন শিফট থাকবে ও সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলতে হবে।
১০) প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেলের সন্ধান বা শোধন।
আরও পড়ুন : Lockdown 2.0: রেল-উড়ান পরিষেবা ৪ মে শুরুর সম্ভাবনা কার্যত নেই, মন্ত্রিগোষ্ঠীর ভাবনায় ১৫ মে
১১) গ্রামীণ এলাকায় ইটভাটা। অর্থাৎ পুরনিগম বা পুরসভার বাইরে অবস্থিত হবে।
তবে করোনাভাইরাসের হটস্পট জেলা ও সংক্রামক এলাকাগুলিতে লকডাউন শিথিলের পথে হাঁটেনি কেন্দ্র। একইসঙ্গে দিল্লি, তেলাঙ্গানা ও পঞ্জাব জানিয়ে দিয়েছে, সারা রাজ্যেই কঠোরভাবে লকডাউন পালন করা হবে।