লকডাউনের জেরে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এই অবস্থায় আগামী ২০ এপ্রিল থেকে কয়েকটি শিল্প ক্ষেত্রকে সচল রাখার অনুমতি দিয়েছে। দ্বিতীয় দফার লকডাউন নির্দেশিকা প্রকাশ করে বুধবার একথাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
আরও পড়ুন : COVID-19 Updates: বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির মধ্যে ভারতের বৃদ্ধির হার দ্রুততম হবে, পূর্বাভাস IMF-এর
পনেরো পাতার নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজি) ও কয়েকটি উৎপাদনকারী সংস্থাকে কাজ শুরুর অনুমতি দেওয়া হতে পারে। কোন কোন সংস্থাগুলিকে সেই অনুমতি দেওয়া হতে পারে, সেই তালিকা দেখে নিন -
১) গ্রামীণ এলাকায় যে কলকারখানা-শিল্প সংস্থা আছে। অর্থাৎ পুরনিগম বা পুরসভার বাইরে অবস্থিত হবে সেই কলকারখানা।
২) বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও রফতানিজাত দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্পগুলিকেও কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট ও টাউনশিপগুলিও সচল থাকতে পারবে।
৩) ফার্মাকিউটিক্যালস, মেডিক্যাল ডিভাইস ও সেগুলির কাঁচামাল-সহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের কারখানা।
৪) গ্রামীণ এলাকায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প। অর্থাৎ পুরনিগম বা পুরসভার বাইরে অবস্থিত হবে
৫) যে কারখানাগুলির সর্বদা কাজ চালু রাখতে হয় ও সেগুলির জোগান।
৬) তথ্যপ্রযুক্তির হার্ডওয়্যার উৎপাদন।
৭) কয়লা, খনিজ উত্তোলন, সেগুলির পরিবহন, বিস্ফোরক জোগান ও খননকার্য চালু করা যাবে।
৮) প্যাকেজিং সামগ্রীর উৎপাদন।
৯) পাট শিল্প চালু রাখা যাবে। তবে বিভিন্ন শিফট থাকবে ও সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলতে হবে।
১০) প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেলের সন্ধান বা শোধন।
১১) গ্রামীণ এলাকায় ইটভাটা। অর্থাৎ পুরনিগম বা পুরসভার বাইরে অবস্থিত হবে।