চাপের মুখে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ডাউনলোডের অবস্থান থেকে কি পিছু হটল কেন্দ্র? চতুর্থ দফার লকডাউনের নির্দেশিকা জারির পর এমনটাই মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
রবিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে যে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে বলা হয়েছে, ‘সংক্রমণের সম্ভাব্য বিপদ দ্রুত চিহ্নিতকরণের কাজ করে আরোগ্য সেতু এবং এভাবে কোনও ব্যক্তি এবং সমাজের বর্ম হিসেবে কাজ করে। অফিস এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা নিশ্চিত করার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নিয়োগকারীদের সর্বোত্তম চেষ্টার মাধ্যমে সব কর্মীদের উপযুক্ত মোবাইল ফোনে আরোগ্য সেতু ডাউনলোড নিশ্চিত করতে হবে। ’
অথচ গত ১ মে কেন্দ্রের নির্দেশিকায় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা কর্মরতদের বাধ্যতামূলকভাবে 'আরোগ্য সেতু' অ্যাপ ডাউনলোডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই কাজ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা অফিসের প্রধানকে দেওয়া হয়েছিল। আর এবার তা মালিকদের ‘সর্বোত্তম চেষ্টা’-য় পরিণত হয়েছে। তা থেকে কার্যত স্পষ্ট, নিজের ইচ্ছা মতো 'অরোগ্য সেতু' ডাউনলোড করতে পারবেন কর্মীরা। বাধ্যতামূলকভাবে অ্যাপ ব্যবহারের অবস্থান থেকে সরে এসেছে কেন্দ্র।
পাশাপাশি, তৃতীয় দফার লকডাউনে সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ কর্মীকে অফিস থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। চতুর্থ দফায় সেই মাত্রা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে এখন কত শতাংশ কর্মী একদিনে অফিসে কাজ করতে পারবেন তা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। সেজন্য নির্দিষ্ট শর্ত মেনে চলতে হবে। তবে কেন্দ্রের পরামর্শ, যত বেশি সম্ভব কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজ করানোর সুযোগ দেওয়া যায়, তত ভালো হবে।