চতুর্থ দফার লকডাউনে দিল্লিতে মেট্রো পরিষেবা শুরু নিয়ে জল্পনা চলছিল। তবে কমপক্ষে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত সেই সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়াল জানান, অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে বিভিন্ন গতিবিধিতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তবে ‘কনটেনমেন্ট জোন’-এ তালাবন্ধ রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ধাপে ধাপে অর্থনীতি চালু করতে হবে। দিল্লিতে সব কারখানা চালু করার অনুমতি দেওয়া হবে। নির্মাণকাজও শুরু করা যাবে। তবে শুধুমাত্র স্থানীয় শ্রমিকরা ছাড়পত্র পাবেন। দিল্লির সীমান্তের বাইরের শ্রমিকদের অনুমতি দেওয়া হবে না।’
একইসঙ্গে সমস্ত দোকান খোলার অনুমতিও দিয়েছে তাঁর সরকার। জোড়-বিজোড় নীতি মেনে দোকান খুলতে হবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকানের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম কার্যকর হবে না। খোলা যাবে রেস্তোরাঁও। সেখানে অবশ্য বসে খাওয়া যাবে না। তবে কেন্দ্রের নির্দেশিকা মতো সেলুন, স্পা, বিউটি পার্লারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়নি। রাজধানীতে আপাতত বন্ধ থাকবে সেলুন।
বেসরকারি অফিস খোলার ক্ষেত্রে অবশ্য কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনেই চলেছে দিল্লি সরকার। সব কর্মীরা অফিসে আসতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। তবে যত বেশি সম্ভব কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
শর্তসাপেক্ষে গণ পরিবহন চালুর পথেও হেঁটেছেন কেজরিওয়াল। তিনি জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকারি বাস চলবে। তবে বাসপিছু সর্বাধিক ২০ জন যাত্রী উঠতে পারবেন। বাসে ওঠার তাঁদের স্ক্রিনিং হবে। সামাজিক দূরত্বের বিধিও নিশ্চিত করা হবে। অটো রিক্সা ও সাইকেল রিক্সায় একজন যাত্রী উঠতে পারবেন। ট্যাক্সি এবং অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা শুরু করার ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। তাতে অবশ্য দু'জনের বেশি যাত্রী থাকবেন না। দু'চাকার গাড়িতে একজন যেতে পারবেন।