সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং বজায় রাখতে হবে করোনাভাইরাস রোধে। থাকতে হবে বাড়ির গণ্ডির মধ্যে। ২১ দিন ব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করার সময় এই কথা বলেছিললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথা যে দেশবাসী মান্য করছে, এমনটাই উঠে এল গুগলের কম্যুনিটি মোবিলিটি রিপোর্টে। এই রিপোর্ট এটা হিসাব করে যে বিভিন্ন জায়গায় যেখানে মানুষ জটলা করে, সেখানে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং শুরু হওয়ার পর কতটা প্রভাব এসেছে। মূলত স্বাস্থ্য সংস্থাদের সুবিধার্থে এই ডেটা দিচ্ছে গুগল।
ভারতের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, অনেকটাই কমেছে জনবহুল স্থানে মানুষের জটলা। মার্চ ২৯-এর পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে , রিটেল ও রেস্তোরা বিভাগে মানুষের যাতায়াত কমেছে ৭৭ শতাংশ। অর্থাত্ আগের থেকে অনেক কম লোকে যাচ্ছেন মল,হোটেল ইত্যাদিতে।
অত্যাবশ্যক পণ্য, সব্জি ও ওষুধের দোকানেও চোখে পড়ার মতো লোক কমেছে। গুগল বলছে ৬৫ শতাংশ কম লোক যাচ্ছেন ওইসব জায়গায়। পার্ক, , বাগান প্রভৃতিতে যাচ্ছেন ৫৭ শতাংশ কম মানুষ। আগের থেকে গণপরিবহণ কম ব্যবহার করছেন প্রায় ৭১ শতাংশ মানুষ। প্রসঙ্গত লকডাউনের ফলে বন্ধ ট্রেন, মেট্রো, বিমান। চলছে হাতে গোনা কয়েকটি বাস।
অধিকাংশ অফিসে একনয় ছুটি হয়ে গিয়েছে, নয়তো ওয়ার্ক ফ্রম হোম দিয়েছে। খোলা শুধু অত্যাবশ্যক পণ্য ও জরুরি পরিষেবা সম্পর্কিত অফিসগুলি। ফলে আগের চেয়ে অফিসে প্রায় ৪৭ শতাংশ ভিড় কম। এখন সবাইকেই বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। তাই বাড়িতে লোকের জমায়েত বেড়েছে ২২ শতাংশ।
গুগল ইউজারদের লোকেশন ডেটা ব্যবহার করে এই রিপোর্ট বানাচ্ছে। তবে এতে ব্যক্তিগত ইউজারদের প্রাইভেসি নষ্ট হবে না বলে জানিয়েছে গুগল। সারা বিশ্বে ১৩১টি দেশের জন্য এই রিপোর্ট প্রকাশ করছে গুগল।