রেল লাইনে গলা রেখে শুয়ে পড়েছে এক কিশোরী। আর ঠিক সেই সময় আসছিল একটি ট্রেন। লাইনে মেয়েটিকে দেখার পর বারবার হুইসেল দিয়ে সতর্ক করছিলেন চালক। কিন্তু, তারপরেও মেয়েটি কিছুতেই রেল লাইন থেকে উঠছিল না মেয়েটি। তখন বিষয়টি বুঝতে পেরে তৎপরতার সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। আর এভাবেই বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে জীবন শেষ করে দেওয়ার হাত থেকে এক কিশোরীকে বাঁচালেন লোকো পাইলট অরুণ কুমার। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মতিহারি জেলায়।
আরও পড়ুন: এক্সপ্রেস ট্রেনে এবার পাওয়া যাবে নতুন চাদর, এবার যাত্রা করুন নিশ্চিন্তে
জানা গিয়েছে, বাপুধাম মতিহারি-পাটলিপুত্র ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার সময় সকাল ৭ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল হল পূর্ব মধ্য রেলের মুজাফফরপুর-নারকাটিয়াগঞ্জ সেকশনে চকিয়া রেল স্টেশনের আউটার সিগন্যালের কাছে। মেয়েটিকে তার স্কুলের ব্যাগ নিয়ে ট্র্যাকে পড়ে থাকতে দেখেন চালক। তখন তিনি জরুরি ব্রেক কষে ঠিক সময়ে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। বাপুধাম মতিহারি স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট দিলীপ কুমার বলেন, লোকো পাইলট মেয়েটিকে লক্ষ্য করেন এবং দ্রুত ট্রেনটি থামিয়ে দেন। এরপর তিনি ট্রেন থেকে নেমে মেয়েটিকে রেল লাইন থেকে সরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, কিছুতেই মেয়েটি রেল লাইন থেকে সরে যেতে রাজি হচ্ছিল না।
জানা যায়, মেয়েটি বারবার মৃত্যুর ইচ্ছা প্রকাশ করে। দিলীপ কুমার জানান, লোকো পাইলট তাকে ট্র্যাক থেকে সরানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ,সে সরে যেতে অস্বীকার করেছিল। তারপরে তিনি স্থানীয়দের সাহায্য চান। পরে স্থানীয় পুরুষ এবং মহিলাদের সহায়তায় মেয়েটিকে জোর করে রেল লাইন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুনরায় ট্রেন গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা দেয়।
জানা যায়, মেয়েটি বারবার বলতে থাকে, ‘আমি মরতে চাই’। যদিও কেন মেয়েটি আত্মহত্যা করতে চাইছিল তার কোনও স্পষ্ট কারণ জানা যায়নি। এবিষয়ে স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহ বা প্রেমের সম্পর্কের কারণে মেয়েটি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় কিশোরীকে উদ্ধার করার দৃশ্য দেখা গিয়েছে।