মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে কংগ্রেসের প্রার্থী নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছিলেন। এই আবহে খোলা মাঠে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী শঙ্কর লালওয়ানি। লোকসভা ভোটের প্রথমেই একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল বিজেপি। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরেও প্রায় একই ভাবে খোলা মাঠে গোল দিতে তৈরি হয়েছিল বিজেপি। অবশ্য এখানে শেষ পর্যন্ত লড়াই হয়েছে। তবে তাতে বিরোধী কোনও প্রার্থীর তুলনায় বেশি ভোট পড়েছে নোটায়। এই আবহে ইন্দোর লোকসভা নির্বাচনে দু'টি রেকর্ড হল।
ইন্দোর লোকসভা কেন্দ্রে ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ নোটা ভোট পড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ইন্দোরে নোটায় ভোট পড়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৬৭৪টি। এদিকে এই আসনে জয়ী বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর লালওয়ানি পেয়েছেন ১২ লাখ ২৬ হাজার ৭৫১টি ভোট। এই আবহে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হন ১০ লাখ ৮ হাজার ৭৭ ভোটে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ইতিহাসে এত ব্যবধানে কোনও প্রার্থী এর আগে জেতেনি।
উল্লেখ্য, ইন্দোর থেকে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয়কান্তি বাম। ২৯ এপ্রিল সকালে অক্ষয় জেলাশাসকের অফিসে গিয়ে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক রমেশ মেন্দোলা। উল্লেখ্য, এই রমেশ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। এই আবহে এই গোটা ঘটনাপ্রবাহে নেপথ্যে থেকে কৈলাস কলকাঠি নেড়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছিল। এদিকে কংগ্রেসের প্রার্থী পদত্যাগ করে অক্ষয় ২৯ এপ্রিলই বিজেপিতে যোগ দেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়িতে করে তিনি বিজেপির অফিসে যান। কৈলাস সেলফি তোলেন অক্ষয়ের সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, এর আগে অক্ষয়ের পাশাপাশি কংগ্রেসের আরও তিন নেতা 'ডামি প্রার্থী' হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছিলেন ইন্দোর লোকসভা আসন থেকে। তবে সেই তিন 'ডামি প্রার্থীর' মনোনয়ন বাতিল করে দেন জেলাশাসক। এদিকে অক্ষয়ের মনোনয়ন বাতিলেরও দাবি তুলেছিল বিজেপি। অক্ষয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, হলফনামায় অক্ষয় নিজের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেননি। উল্লেখ্য, ১৭ বছর পুরনো এক মামলায় অক্ষয়ের নামে ৩০৭ ধারায় মামলা যুক্ত করা হয়েছে। সেই তথ্য তিনি হলফনামায় যোগ করেননি। তবে বিজেপির দাবি খারিজ করে দিয়েছিলেন জেলাশাসক। কারণ মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনই সেই ধারায় মামলা যুক্ত হয়েছিল অক্ষয়ের নামে। তবে পরে সেই অক্ষয় নিজেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। আর সেই খোলা মাঠে বিজেপি প্রার্থী ১০ লাখ ভোটে জয়ী হলেন।