বিপক্ষে কোনও ভোট পড়ল না। রাজ্যগুলির হাতে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) তালিকা তৈরির ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার লোকসভায় সংবিধানের সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিল কেন্দ্র।
সংবিধান (১২৭ সংশোধনী) বিলের পক্ষে ভোট দেন ৩৮৫ জন সাংসদ। বিপক্ষে কোনও ভোট পড়েনি। তবে কয়েকজন সাংসদ বিলের ক্ষেত্রে সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। যা সংসদের নিম্নকক্ষে খারিজ করে যায়। এমনিতে সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করানোর জন্য সংসদে বিশেষ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন হয়। লোকসভার মোট সদস্য সংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠতা। সেইসঙ্গে যতজন সাংসদ হাজির আছেন, তাঁদের মধ্যে কমপক্ষে ন্যূনতম দুই-তৃতীয়াংশকে বিলের পক্ষে ভোট দিতে হয়।
তারইমধ্যে লিখিত জবাবে মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ১২ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। সেই রাজ্যগুলি হল - উত্তরাখণ্ড, গুজরাত, কর্নাটক, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, মিজোরাম, জম্মু ও কাশ্মীর, গোয়া, অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলাঙ্গানা।
ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সর্বভারতীয় কোটা কর্মসূচির আওতায় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরে সমস্ত মেডিকেল এবং ডেন্টাল কোর্সে (এমবিবিএস/এমডি/এমএস/ডিপ্লোমা/বিডিএস/এমডিএস) অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) জন্য ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। আর্থিকভাবে দুর্বল প্রার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হবে ১০ শতাংশ। যে নিয়ম ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকেই কার্যকর হবে। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের দাবি, ‘সেই সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ৫,৫০০ পড়ুয়া (এমবিবিএসে ১,৫০০ জন এবং স্নাতকোত্তরে ২,৫০০ জন ওবিসি পড়ুয়া, এমবিবিএসে ৫৫০ জন এবং স্নাতকোত্তরে ১,০০০ জন আর্থিকভাবে দুর্বল পড়ুয়া) উপকৃত হবেন। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পড়ুয়া এবং আর্থিকভাবে দুর্বল প্রার্থীদের পর্যাপ্ত সংরক্ষণ দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সরকার।’