এই লোকসভা নির্বাচনে শহুরে এলাকায় বিজেপি পেয়েছে ৪০.১ শতাংশ ভোট। এদিকে মফস্বল অঞ্চলে দলের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৩৬.৬ শতাংশ। আর গ্রামীণ এলাকায় গতবারের থেকে অনেকটা কমে ভোটের হার হয়েছে ৩৫ শতাংশ। এদিকে নিজেদের প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে বিজেপির শহুরে ভোট মাত্র ১৬.৭ শতাংশ। এদিকে মফস্বল থেকে বিজেপির ৪৮.৫ শতাংশ ভোট এসেছে। আর গ্রামীণ এলাকার ভোট বিজেপির মোট প্রাপ্ত ভোটের ৩৪.৮ শতাংশ। এদিকে কংগ্রেস শহর এলাকায় ২১.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে। তাদের মোট প্রাপ্ত ভোটের ১৫.৪ শতাংশ সেটা। এদিকে তৃণমূলের মোট প্রাপ্ত ভোটের ৬২.২ শতাংশ ভোট এসেছে মফস্বল থেকে। গ্রামীণ অঞ্চল থেকে তৃণমূলের মোট ভোটের ২৩.১ শতাংশ ভোট এসেছে। (আরও পড়ুন: 'বাংলায় সংগঠন শুয়ে পড়েছে', পদ ছাড়াই দলের হাল ধরার বার্তা দিলীপ ঘোষের)
আরও পড়ুন: ছেলের হাতের মোয়া নাকি? আদালতের কড়া শর্তে চিন্তায় কর্মরত সরকারি কর্মীরা?
আরও পড়ুন: হারের পর ফোন আসেনি হাইকমান্ডের, নতুন বাড়ি খুঁজতে দিল্লি যাচ্ছেন অধীর
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের তুলনায় এবার অনেকটাই খারাপ হয়েছে বিজেপির ফল। মোদীর নেতৃত্বে তৃতীয়বার সরকার গঠনের দোড়গোড়ায় থাকলেও বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি এবারে। তবে দেশ জুড়ে বিজেপির ভোটের হার কমেছে খুব সামান্যই। তাতেই হু হু করে কমেছে পদ্ম শিবিরের আসন সংখ্যা। বিজেপি গত দু'বারের মতো নিজের দমে ম্যাজিক ফিগার পার করতে পারেনি। এবারে তাদের ঝুলিতে গিয়েছে ২৪০টি আসন। গতবারের তুলনায় যা ৬৩ কম। অবশ্য গোটা দেশের ভোটের হারের নিরিখে বিজেপি ২০১৯ সালের তুলনায় এবার মাত্র ০.৭ শতাংশই কম পেয়েছে। (আরও পড়ুন: বদলাতে পারে প্রধানমন্ত্রীর শপথের দিনক্ষণ, মোদীর জন্য নিজের শপথ 'পিছোলেন' নাইডু)
আরও পড়ুন: যে যে রাজ্যে মোদী বেশি প্রচার করেছেন, সেখানেই ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির, বলছে তথ্য
২০১৯ সালে বিজেপি গোটা দেশে পেয়েছিল ৩৭.৩ শতাংশ ভোট। আর এবার বিজেপি পেয়েছে ৩৬.৬ শতাংশ ভোট। মাত্র ০.৭ শতাংশের এই ব্যবধানেই বিজেপি ম্যাজিক ফিগার থেকে বহু দূরে থমকে গিয়েছে। '৪০০ পার' তো দূরের কথা, ২৭২-এর ম্যাজিক ফিগার পৌঁছতে শরিকদের ওপর বিশেষ ভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে মোদী। (আরও পড়ুন: ‘অগ্নিবীর স্কিমে বদল চাই’, UCC, ‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে সমর্থন দিয়ে শর্ত নীতীশের)
আরও পড়ুন: বুথ ফেরত সমীক্ষা দিয়ে শেয়ার বাজারে কারচুপি? প্রশ্ন তুলে তদন্তের দাবি TMC সাংসদের
তবে বিজেপির এই ০.৭ শতাংশ ভোট কমার কারণে কীভাবে আসন সংখ্যায় এত বড় ফারাক এল? বিজেপি গুজরাট, মধ্যপ্রদেশের মতো যে সব রাজ্যে একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়েছে সেখানে তাদের ভোট শতাংশে বড় ধরনের কোনও হেরফের হয়নি। এদিকে উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে তাদের ভোটের হার কমেছে এক ধাক্কায় ৮ শতাংশ। সেখানেই তারা গতবারের তুলনায় ২৯টি আসন কম পেয়েছে। এদিকে দক্ষিণের বেশ কিছু রাজ্যে তাদের ভোটের হার বেড়েছে। তবে সেখানে সেই তুলনায় আসন সংখ্যা বাড়াতে পারেনি বিজেপি। উত্তরপ্রদেশ নয়, মহারাষ্ট্র, বাংলার মতো রাজ্যে বিজেপির ভোটের হার অনেকটাই কমেছে গতবারের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায়। এই রাজ্যগুলিতে তাদের আসন সংখ্যাও কমেছে। ওড়িশা, তেলঙ্গনার মতো রাজ্যে তারা আগের বারের তুলনায় আরও ভালো ফল করেছে। খাতা খুলেছে কেরল, অন্ধ্রে। তবে সেখানে আসন সংখ্যা সেভাবে বাড়ানো যায়নি। তবে সার্বিক ভাবে দক্ষিণে ভোটের হার বেড়েছে। তামিলনাড়ুতে একটি আসন না পেলেও গতবারের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়েছে বিজেপির ভোটের হার। এই সব মিলিয়ে গতবারের কাছাকাছি পৌঁছেছে বিজেপির ভোট শতাংশ। তবে আসন কমেছে আগেরবারের থেকে অনেক।
এদিকে বিজেপির স্ট্রাইকরেট এবার কমেছে অনেকটাই। কংগ্রেস এবার বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি লড়েছে ২১৫টি আসনে। তার মধ্যে বিজেপি জয়ী ১৫৩টি আসনে। ওদিকে কংগ্রেস জিতেছে ৬২ আসনে। এবারে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপির স্ট্রাইক রেট ছিল ৭১.২ শতাংশ। গতবার তা যথাক্রমে ছিল ৯২.১ শতাংশ। কংগ্রেস ছাড়া অন্যান্য সব পার্টি বিজেপিকে হারিয়েছে ৫১.১ শতাংশ আসনে। অন্যান্য দলের বিরুদ্ধে ১৭৮টি আসনে লড়ে বিজেপি জিতেছে মাত্র ৮৭ আসনে। সমাজবাদী পার্টি, তৃণমূল, ডিএমকে-র মতো বজড আঞ্চলিক দল ভালো ফল করেছে এই নির্বাচনে। অন্য দলের বিরুদ্ধে এবার বিজেপির স্ট্রাইক রেট ছিল ৪৮.৯ শতাংশ। গতবার যা ছিল ৬৯.২ শতাংশ।