লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে লোকসভা নির্বাচন সামনেই। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে একটা হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা ঘুরতে শুরু করেছে। সেখানে তারিখ উল্লেখ করে একটি নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়েছে। তা নিয়ে নানা বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে নির্বাচন কমিশন তাদের এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়ে দিল, ওই নির্ঘণ্ট আসলে ভুয়ো। এখনও পর্যন্ত কোনও নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচন কমিশন নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে সাংবাদিক বৈঠক করে। ইতিমধ্যেই ওই ভুয়ো হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় ১৯ এপ্রিল গোটা দেশে একদফায় লোকসভা নির্বাচন হবে বলে জানানো হয়েছে। আর ফল ঘোষণা হবে ২২ মে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল হয়েছে।
এদিকে ওই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে দাবি করা হয়েছে, আগামী ১২ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হবে। ২৮ মার্চ মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন। ১৯ এপ্রিল গোটা দেশে একদফায় নির্বাচন হবে। ২২ মে লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হবে। ওই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পেয়ে দেশের মানুষজন অবাক হন। প্রশ্ন উঠতে যায়, গোটা দেশে একদফায় নির্বাচন কেমন করে সম্ভব? যদিও জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, ওই বিজ্ঞপ্তি যা হোয়াটসঅ্যাপে ঘোরাফেরা করছে তা ভুয়ো। লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে সাংবাদিক বৈঠক করা হবে। এই ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি দেখে বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, আগামী ১৪ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই রাজ্যে রাজ্যে ইতিমধ্যেই বেঞ্চ যেতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনের। ইতিমধ্যেই কয়েকটি রাজ্য যাওয়া হয়ে গিয়েছে। আগামী ৪ মার্চ ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বাংলায় আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। তার আগে এই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ‘২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় ভুয়ো নির্ঘণ্ট ঘুরছে। এই বার্তা ভুয়ো। কোনও তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করা হবে।’
আরও পড়ুন: চিনকে ঠেকাতে বড় প্রকল্পে কাজ কেন্দ্রের, সেবক–রংপো রেল পথ তৈরিতে জোর
এছাড়া ২০১৯ সালে সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল। যা ১০ মার্চ ঘোষণা করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সরকারি আমলাদের বদলির ক্ষেত্রে কড়া হওয়ার কথা জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে। পুলিশ–প্রশাসনে বদল আসছে। আর কাশ্মীরের থেকে এই রাজ্যে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। সমস্ত রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, কোনওভাবেই কোনও আমলাকে এক জেলা থেকে বদলি করে এখন অন্য কোনও জেলায় পাঠানো যাবে না। যা একই সংসদীয় কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে।