লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সুতরাং দেশজুড়ে এখন আদর্শ আচরণবিধি মেনে চলা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য। আর তাই কদিন আগেই নির্বাচন কমিশন বিজেপিকে নির্দেশ দিয়েছিল, মোবাইল ফোনে প্রধানমন্ত্রীর বিকশিত ভারত—এই বার্তা পাঠানো যাবে না। যা গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে প্রত্যেক নাগরিকের মোবাইল ফোনে পাঠানো হচ্ছিল। এখন নির্বাচন কমিশনের গুঁতোয় তা বন্ধ হয়েছে। এবার আবার বড় পদক্ষেপ করল রেল। মুম্বই রেল স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রীর সেলফি বুথ, ব্যানার, হোর্ডিং, ফেস্টুন এবং বিকশিত ভারতের বার্তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আর তারপরই সেখান থেকে সরে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর যাবতীয় ছবি। বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিকশিত ভারতের অডিয়ো বার্তা। আসলে নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইনেই এসব আছে। সেটাই এবার অক্ষরে অক্ষরে পালন করল ভারতীয় রেল। প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কেমনভাবে নির্বাচনী প্রচার করতে হবে তা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইনে। ভোটারদের প্রভাবিত করা যাবে না সেই কথাও উল্লেখ করা আছে। কয়েক মাস আগেই মুম্বই রেল স্টেশনে প্রধানমন্ত্রীর অস্থায়ী সেলফি বুথ গড়ে তোলা হয়েছিল। সেখানে নরেন্দ্র মোদীর বিরাট কাটআউট ছিল। উন্নয়নের বার্তা জ্বলজ্বল করছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প–সহ স্কিল ইন্ডিয়া, উজ্জ্বলা যোজনা এবং চন্দ্রযান মিশনের কথা তুলে ধরা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: চিরুনি কাঁচি হাতে নিয়ে যুবকের চুল কাটলেন তৃণমূল প্রার্থী, ভোট প্রচারে অভিনবত্ব
এদিকে এখন লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। সুতরাং ভোটাররা এসব দেখে প্রভাবিত হতে পারে। সেই সম্ভাবনা আছে। তাই টান মেরে সব সরিয়ে ফেলা হল মুম্বই রেল স্টেশন থেকে। এই বিষয়ে রেলের এক সিনিয়ার অফিসার জানান, আদর্শ আচরণ বিধি মেনে চলাটা বাধ্যতামূলক। তাই নির্বাচনী প্রচারের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে এমন যা কিছু সব সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সেন্ট্রাল রেলওয়ে জুড়ে কমপক্ষে ৫০টি সেলফি পয়েন্ট রয়েছে। যার মধ্যে ১০টি মুম্বই শাখায়। এছাড়া চার্চগেট, মুম্বই সেন্ট্রাল এবং বান্দ্রা টার্মিনাসে এমন সব ছবি, সেলফি বুথ ছিল। যা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
অন্যদিকে প্রত্যেকটি সেলফি পয়েন্ট খুব সুন্দর করে গড়ে উঠেছিল। প্রধানমন্ত্রীর ছবি এবং মূর্তির মতো অবয়ব গড়ে তোলা হয়েছিল। যার খরচ পড়েছিল ৬ লক্ষ টাকা এক একটি ইনস্টল করতে। এই সেলফি বুথকে সামনে রেখে রেল নিয়ে আসে ‘ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট’ স্কিম। স্থানীয় জিনিসপত্রকে তুলে ধরতেই এই প্রকল্প নিয়ে আসে রেল। তাতে রোজগার বাড়বে যাঁরা স্টল দেবে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে বোর্ড প্রদর্শনী করে ভোকাল ফর লোকাল উদ্যোগকে সামনে আনা হয়েছিল। আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এই বোর্ডগুলি ঢেকে ফেলা হয়েছে।