পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা নীতি যতই বলুক তারা ভারতের সঙ্গে 'আগামী ১০০ বছর শান্তিতে' থাকতে চায়, তাদের বাস্তবের কার্যকলাপ কিন্তু তার থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে কথা বলছে! অন্তত এমন মত বহু কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞের। সাম্প্রতিক লন্ডনের একটি পাকিস্তানপন্থী আইনি ফার্ম লন্ডন পুলিশের কাছে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে গ্রেফতার করার জন্য আবেদন জানিয়েছে। শুধু অমিত শাহ নন, ভারতের সেনা প্রধান জেনারেল নরভানেকেও গ্রেফতার করার আর্জি জানানো হয়েছে লন্ডন পুলিশকে।
এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, লন্ডন পুলিশের কাছে , কাশ্মীরের যুদ্ধ অপরাধীদের ইস্যুতে ভারতের সেনা প্রধান মুকুন্দ নরভানেকে গ্রেফতার করার আর্জি জানিয়েছে একটি গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠী মূলত পাকিস্তানের 'লবি'-এর একটি আইনি ফার্ম। শুধু ভারতের সেনা প্পধানই নন, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুকুন্দ নরভানেকেও গ্রেফতার করার আর্জি জানানো হয়েছে। শুধু তাঁরাই নন, ভারতীয় সেনার তরফে আরও আটজনকে গ্রেফতারির দাবি জানানো হয়েছে এদিন। পাক আইনি ফার্মের দাবি, নাগরিক ও সাংবাদিকদের প্রতি এঁদের অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। আর সেই মর্মে যুদ্ধ অপরাধী ইস্যুতে লন্ডনে মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে বেশ কিছু প্রমাণ পাঠিয়ে এঁদের গ্রেফতারির দাবি জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই আইনি ফার্মের রিপোর্টে ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যের নানান ঘটনা বর্ণনা করা রয়েছে। যার মধ্যে ২০০০ জনের ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে পুলিশের কাছে দায়ের করা রিপোর্টে। এই রিপোর্টে, পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সন্ত্রাসবাদী জিয়া মুস্তাফাকে 'স্বাধীনতা সংগ্রামী' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আবেদনে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ারও আর্জি জানিয়ে একাধিক ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, লস্কর ই তৈবার এই কমান্ডার জিয়া মুস্তাফার বিরুদ্ধে কাশ্মীরে ২৪ কাশ্মীরি পণ্ডিতকে খুন করার অভিযোগ ছিল। এরপর ২০৩৩ সালে জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য, ২০ পাতার এই রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে ভারতের হারের পর ভারতে কয়েকজন পাক সমর্থককে গ্রেফতার করা নিয়ে নানান অভিযোগ।