Covid-19 থেকে সেরে ওঠার পরে ‘লং টার্ম কোভিড’ নামে যে শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়, তা বিবিধ উপসর্গের সমাহার যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও মনের উপর প্রভাব বিস্তার করে। বৃহস্পতিবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেল্থ রিসার্চ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সাত মাস বা তার পরেও শরীরের একাংশে বা গোটা দেহে এমন সমস্যা দেখা দেয়।
সম্প্রতি ব্রিটিশ রোগীদের সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ লংকোভিডএসওএস-এর সদস্যরা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিতে একাধিক মঞ্চ ও ফোরামে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। লন়্নের কিংস কলেজের তৈরি উপসর্গ অনুসরণকারী অ্যাপ জানিয়েছে, ১০% কোভিড রোগী তিন সপ্তাহ পরেও অসুস্থ থাকেন এবং ৫% রোগী দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে অসুস্থ থাকছেন।
‘লিভিং উইথ কোভিড’ শীর্ষক রিপোর্টে গবেষণা প্রকল্পের প্রধান ম্যাক্সওয়েল জানিয়েছেন, অতিমারী পরবর্তী এই সমস্ত নতুন ও পরিবর্তনশীল উপসর্গ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের তাবড় দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। রোগী ও চিকিৎসকদের কাছে তাঁর আর্জি, ভবিষ্যৎ গবেষণার স্বার্থে সংক্রমণ পরবর্তী অসুস্থতার খুঁটিনাটি নথিভুক্ত করা প্রয়োজন।
সেই উদ্দেশে ইতিমধ্যে ফেসবুকে ১৪ সদস্যকে নিয়ে একটি ফোকাস গ্রুপ চালু করেছেন ম্যাক্সওয়েল ও তাঁর সহযোগী বিজ্ঞানীরা। গ্রুপের নাম দেওয়া হয়েছে ‘লং কোভিড’।
গ্রুপে ইতিমধ্যে নথিভুক্ত অভিজ্ঞতা জানাচ্ছে, কোভিড সংক্রমণ বৃত্তাকারে ফিরে আসতে পারে। ম্যাক্সওয়েল জানিয়েছেন, উপসর্গের মাত্রা কখনও গুরুতর আবার কখনও মৃদু থাকছে এই সব ক্ষেত্রে। এতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে শ্বাস প্রক্রিয়া, মস্তিষ্ক, কার্ডিওভাস্কুলার ব্যবস্থা ও হৃদযন্ত্র, কিডনি, পয়োঃপ্রণালী, যকৃত ও ত্বকে। সমস্থার শিকার হচ্ছেন যে কোনও বয়সের যে কোনও শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত রোগীরা।
তাঁর আবেদন, পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে কোভিড পরবর্তী উপসর্গের খোঁজ পেতে স্বাস্থ্য পরিষেবা, সরকারি দফতর ও বেসরকারি সংস্থাগুলিতে সেরে ওঠা রোগীদের জন্য পুরোদস্তুর পরীক্ষা পদ্ধতি চালু রাখা প্রয়োজন।