রাজ কুমার
সমস্ত চোরেদের নামকরণ কেন মোদীর নামে হয়? রাহুল গান্ধীর এই বিবৃতিকে কেন্দ্র করে ফের শোরগোল পড়তে চলেছে। এবার ঝাড়খণ্ডে এমপি-এমএলএ কোর্টে রাহুলকে শুনানির মুখে পড়তে হতে পারে।
সিভিল কোর্টের এক আইনজীবী জানিয়েছেন, শনিবার এমপি-এমএলএ কোর্ট তাঁর( রাহুল গান্ধী) বিরুদ্ধে ধারা আরোপ করেছে।
এদিকে ৫০০ ধারা অনুসারে আদালত অভিযোগকারীকে একজন সাক্ষীকে হাজির করার কথা জানিয়েছে।
এদিকে ২০১৯ সালের ২৩শে এপ্রিল প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী প্রদীপ মোদী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে এই মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই বছরই ৩রা মার্চ উলগুলানের সভায় মোদীকে নিশানা করে নানা মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে গোটা ব্যাপারটি এমপি-এমএলএ কোর্টে পাঠানো হয়।
তবে সেই আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু পাওয়া যায়নি।
রাহুল গান্ধীর আইনজীবী প্রদীপ চন্দ্র জানিয়েছেন, আমি কোর্টে জানিয়েছি এই অভিযোগ ঠিক নয়। কোর্ট জানিয়েছে অভিযোগকারীকে প্রমাণ হাজির করতে। এবার ট্রায়াল হবে। আগামী ২৯শে জুলাই অভিযোগকারী সাক্ষীকে হাজির করবেন ও আমি সাক্ষীকে পালটা জিজ্ঞাসা করব।
রাহুল গান্ধী সেদিন হাজির থাকবেন কি না সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়া থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তিনি আইনজীবী হিসাবে হাজির থাকবেন।
এদিকে এক কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ভোটের প্রচারের সময় রাহুল গান্ধীর এই মামলাটি উঠেছিল। নরেন্দ্র মোদী, নীরব মোদী ও ললিত মোদীর কথা প্রসঙ্গেই সম্ভবত বলা হয়েছিল কেন সব চোরের পদবি মোদী হয়।
এদিকে হিন্দুস্তান টাইমসের আগের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে রাঁচির বিশেষ আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল যেখানে ওয়েনাডের সাংসদের ‘মোদী পদবি’সম্পর্কিত মানহানির মামলার শুনানি চলছিল।
নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুলের দায়ের করা পিটিশনের নির্দেশে বিচারপতি এস কে দ্বিবেদীর বেঞ্চ কিছু শর্ত দিয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে স্বস্তি দিয়েছে।
তিনি বলেন, 'ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে মহামান্য হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। আবেদনটি মঞ্জুর করা হয়েছে এবং ব্যক্তিগত উপস্থিতি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রাহুলের আইনজীবী দীপঙ্কর রায় বলেছিলেন, রাহুল গান্ধীকে নতুন করে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে যে তিনি তাঁর পরিচয় নিয়ে বিতর্ক করবেন না এবং তাঁর অনুপস্থিতিতে এবং তাঁর আইনজীবীর উপস্থিতিতে সাক্ষীদের পরীক্ষা করা হলে তিনি কোনও আপত্তি তুলবেন না।
এদিকে একই ধরনের একটি মামলায় চলতি বছরের মার্চ মাসে গুজরাটের একটি আদালত রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং পরে লোকসভা থেকে অযোগ্য ঘোষিত হন।
গান্ধী হাইকোর্টে নিম্ন আদালতের সমনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন।
২০২২ সালের ২ জুলাই ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট তাঁর খারিজের আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপরই নিম্ন আদালত রাহুল গান্ধীকে নতুন করে সমন জারি করে। এই মামলায় রাহুলের আইনজীবীরা ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। কিন্তু ৩ মে বিশেষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে নতুন করে সমন জারি করেছিল, যা পরে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়।