ক্রমেই ছড়াচ্ছে দাবানলের আগুন। এখনও ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পায়নি আমেরিকার অন্যতম অভিজাত এলাকা হিাবে পরিচিত লস অ্যাঞ্জেলাসের একাধিক জায়গা। দাবানলের আগুনে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত অন্তত ১০ জন। এদিকে, ১০ হাজার বাড়ি সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত। এর আগেই প্রশাসনের তরফে ৩০ হাজার ঘরবাড়ির বাসিন্দাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় নিরাপত্তার কারণে। আপাতত ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে ঘর ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এবার এই অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে প্রশাসনের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে লুটপাট! একাধিক রিপোর্ট বলছে, লস অ্যাঞ্জেলাসে লুটপাট রুখতে প্রশাসন তৎপর হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘোষিত হয়েছে কার্ফু।
আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলাস কাউন্টিকে কার্যত তিলে তিলে আরও বিপত্তির মুখে ফেলছে ৪ টি দাবানল। তার আগুন ছড়িয়ে পড়ছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। সবচেয়ে বড় অগ্নিকাণ্ড উপকূলীয় প্যালিস্যাড এলাকায় ও এটনের অগ্নিকাণ্ড। এই দুই অগ্নিকাণ্ডের জেরেই এলাকায় প্রায় ১০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। এদিকে, লস অ্যাঞ্জেলাসের ওই এলাকায় বহু হলিউড সেলেবের বসবাস। জানা গিয়েছে, তাঁদের অনেকেই ঘর ছেড়েছেন রাতারাতি। এদিকে, বাড়ির পর বাড়ি আগুনের গ্রাসে যাচ্ছে। সেই আগুন নেভাতে তৎপর হচ্ছে প্রশাসন। তারই মাঝে অত্যাবশ্যকীয় জিনিস নিয়ে ঘর ছাড়তে নির্দেশ দিচ্ছে প্রশাসন। শুধু যে বাড়ি তা নয়, ব্যবসায়িক নানান প্রতিষ্ঠানের অফিসও ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ রয়েছে। ফলে সেখানের ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এলাকার বহু অংশে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। ফলে ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে অনেকেই বিপত্তির মুখে পড়ছেন।
এদিকে, এই বিপর্যয়ের মাঝে চলছে লুটপাটও। এমনই বেশ কিছু খবর সামনে আসতে শুরু করেছে। এমন বহু বাড়িঘর, যেগুলি রেখে বাসিন্দারা চলে গিয়েছেন, সেগুলিতে লুট চলছে বলে খবর রয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে কার্ফু জারি করছে প্রশাসন। বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, ২০ জনকে এই লুটের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই লস অ্যাঞ্জেলাসের নানান এলাকায় ন্যাশনাল গার্ড ট্রুপ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, কার্ফু সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত থাকবে দুটি অগ্নিকাণ্ডের জায়গাতেই।