সিমরান সিং
স্টক মার্কেটের ট্রেডিংয়ে বড়সর ধাক্কা খেয়েছেন এক ব্যক্তি। বেতন পান। কিন্তু স্টক মার্কেটে ধস নামায় তিনি কার্যত একেবারে নিঃস্ব অবস্থা।
শেয়ার বাজারের অপশন ট্রেডিংয়ে লোকসানের কারণে ৬২ লক্ষ টাকা ঋণ হয়ে গিয়েছে ওই ব্যক্তির। এরপরই তীব্র হতাশা প্রকাশ করেন ৪২ বছর বয়সি বেতনভোগী ওই ব্যক্তি। প্রতি মাসে দেড় লক্ষ টাকা আয় করলেও তাঁর বেতনের বেশিরভাগটাই ইএমআই-এর পিছনে চলে যায়, চার সদস্যের পরিবারের খরচ চালানোর জন্য তাঁর কাছে মাত্র ২০,০০০ টাকা রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমি লোন নিয়েছিলাম আর শেয়ার অপশন ট্রেডিংয়ে বেশিরভাগ অর্থ হারিয়েছি। এখন আমি এটি ছেড়ে দিয়েছি তবে খুব অপরাধী বোধ করছি এবং একটি ভাল জীবনের সমস্ত আশা হারিয়ে ফেলেছি। আমি সবসময় অতীত নিয়ে ভাবি, এসব দুশ্চিন্তার কারণে আমি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। তিনি বিস্তারিত জানিয়েছেন কীভাবে তিনি ক্রেডিট কার্ডের ঋণে ১২ লক্ষ টাকা, ব্যক্তিগত ঋণে ২৫ লক্ষ টাকা এবং গৃহঋণে আরও ২৫ লক্ষ টাকা নিয়ে লড়াই করছেন, পরবর্তী পাঁচ বছরে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ১০ ও ৬ বছর বয়সি দুটি ছোট সন্তান নিয়ে তার আর্থিক বোঝা তাকে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে হতাশ করে তুলেছে।
তাঁর পোস্টটি অনেকেরই মনে দাগ কেটেছে, যার মধ্যে একজন মহিলা ছিলেন যিনি ঋণের সাথে তার নিজের সংগ্রামের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন,'আমি ৩০ বছর বয়সি একজন মহিলা, আমার শ্বশুরের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ২ কোটি টাকা ঋণগ্রস্ত এক ব্যক্তির সাথে বিবাহিত হয়েছি। এই মুহুর্তে, আমরা শুধু হাসি এবং জীবন আমাদের দিকে কী ছুঁড়ে দেয় তা দেখার জন্য অপেক্ষা করি। আগামী মাসে আমাদের ঘর হবে কিনা তাও জানি না। আমরা বিভিন্ন ব্যবসায়ের চেষ্টা করছি, তবে এটি এখন হতাশাজনকভাবে মজার হয়ে উঠেছে - আমরা পরবর্তী কী করব তা জানি না!
আরও বেশ কয়েকজন নেটিজেন এই পোস্টে আর্থিক পরিকল্পনা, ঋণ পুনর্গঠন এবং পার্শ্ব-আয়ের সুযোগের পরামর্শ দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
একজন নেটিজেন লিখেছেন, 'ঋণ একত্রীকরণ ঋণ.. বাজাজ এবং টাটা ক্যাপিটালের সাথে চেক করুন .. তারা আপনাকে সিঙ্গেল ইএমআইতে একীভূত করে সব ঋণের জন্য একক ঋণ দেবে।
প্রসঙ্গত HT.com ওই পোস্টে করা দাবির সত্যতা যাচাই করেনি।
এদিকে অনেকেই এভাবে ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন। যার ফল হয় মারাত্মক। অনেকেরই এই ধরনের লোন নেওয়ার প্রবণতা থাকে। তারপর আর তিনি সেই জায়গা থেকে বের হতে পারেন না।