রাজস্থানের বার্মার জেলা। সেখানেই হোতরাম নামে এক যুবক ২০ বছর বয়সী গীতাকে বছরখানেক আগে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু শ্বশুড়বাড়িতে আসার পরে শাশুড়িকে দেখে ভালো লেগে যায় যুবকের। এক সময় সেই শাশুড়ির সঙ্গেই তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর সেই শাশুড়ি আর জামাইয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল গাছ থেকে। মৃত জামাইয়ের নাম হোতারাম ভিল( ২৫) ও শাশুড়ি দারিয়া (৩৮)। তবে তাদের মধ্যে মাখো মাখো প্রেমের যে এমন পরিণতি হবে তা ভাবতে পারেননি কেউ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে স্ত্রীকে নিয়ে হোতরাম শ্বশুড়বাড়িতে এসেছিলেন। সোমবার রাতে শাশুড়ি ও জামাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। কেউ বিষয়টি জানতেন না। এরপর বার্মারের মুনাবাও এলাকায় তাদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। গ্রাম থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে তাদের দেহ পাওয়া গিয়েছে। একই দড়িতে তারা ঝুলে পড়েছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে দেহদুটি ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে প্রেমের সম্পর্কের পরিণতিতেই এই আত্মহত্যা। তবে এনিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তাদের দুজনের মধ্যে সম্ভবত ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু এই সম্পর্ককে কেউ মেনে নেবে না এটা আঁচ করেই তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।
গোটা ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বাসিন্দাদের ধারনা দূরে কোথাও পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দুজনে। কিন্তু সেটা সম্ভব নয় এটা বুঝে চরম সিদ্ধান্ত নেন।