অবিনাশ কুমার
সোমবার সকালে বিহারের লক্ষ্মীসরাই জেলায় একেবারে প্রকাশ্য়ে একই পরিবারের ৬জনকে নিশানা করে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। তার মধ্য়ে তিনজন মহিলাও রয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুজনকে মৃত অবস্থাতেই আনা হয়েছিল হাসপাতালে। অপরদিকে তিনজনকে অন্য় হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। একজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু কেন এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটানো হল?
মনে করা হচ্ছে মূল অভিযুক্ত হল আশিস চৌধুরি নামে এক যুবক। ছট পুজো সেরে সবে তারা বাড়ি ফিরেছিল। তখনই গুলি চালানো হয়। ঘটনার পরেই এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে। লক্ষ্মীসরাইয়ের এসপি পঙ্কজ কুমার জানিয়েছেন, আশিসের সঙ্গে প্রতিবেশী একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বছর দুয়েক আগে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু মেয়েটির পরিবার কিছুতেই মানছিল না। এনিয়ে তাদের মধ্য়ে অশান্তি লেগেই থাকত। এদিকে দিন দশেক আগেও তাদের মধ্য়ে ঝামেলা হয়েছিল।
এদিকে লক্ষ্মীসরাই এলাকাটা মাওবাদী এলাকা বলে পরিচিত। আর সেই মাওবাদী এলাকাতেই চলল গুলি। গুলিতে মৃতরা হলেন, চন্দন কুমার ঝা, তার ভাই রাজ নন্দন কুমার। আহতদের মধ্য়ে অন্যতম প্রীতি দেবী, লাভলি দেবী, দুর্গা ঝা ও তার বাবা শশী ভূষণ ঝা। চন্দনের মা কোনওরকমে বেঁচে গিয়েছেন। কারণ তিনি মন্দিরে পুজো করছিলেন। সেই সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না।
তিনি জানিয়েছেন, আমি মন্দিরে পুজো করছিলাম। সেই সময় আশিস গুলি চালায়। আমার দুই ছেলেই মারা গিয়েছে। আমার মেয়েকে জোর করে বিয়ে করতে চাইত আশিস। কিন্তু আমাদের পরিবার এটা মেনে নিতে পারেনি। দিন দশেক আগে আমাদের খুন করবে বলে ও শাসিয়েছিল। এরপর আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল।
ঘটনার খবর পেয়েই এসপি ঘটনাস্থলে যান। আশিস ওই বাড়ির সামনেই থাকত। মেয়েটির পরিবার পুজো করে বাড়ি ফেরার পরেই আশিস গুলি চালাতে থাকে। ৬জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। দুজন মারা গিয়েছেন।এসপি জানিয়েছেন, আশিস ওদের বাড়ির মেয়েকে বিয়ে করতে চাইত। কিন্তু ওরা রাজি হয়নি। সেই রাগেই সে গুলি চালায় বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্য়েই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, একেবারে প্রকাশ্যে গুলি চালায় আশিস। এরপরই সে এলাকা ছেড়ে পালায় বলে খবর। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। ফরেনসিক টিমও এলাকায় গিয়েছে।