ওয়াকফ বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) বিরোধী সদস্যরা ৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া পরবর্তী দফার বৈঠক বয়কট করবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন বিরোধী সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই বয়কটের মধ্য়েই এবার লোকসভার সচিবালয় কলকাতা, পাটনা ও লখনউতে এই সফর আপাতত স্থগিত রেখেছে। ১২ নভেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর এই সফর হওয়ার কথা ছিল। সোমবার একটি নোটিফিকেশনে একথা বলা হয়েছে।
এদিকে প্যানেলের বিরোধী সদস্যরা আগেই স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনুরোধ করেছিলেন যাতে এই সফরকে স্থগিত করা হয়। যেটা ৯ নভেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল। কারণ সংশ্লিষ্ট এমপিরা সেই সময় তাঁদের সংসদীয় কেন্দ্রে থাকবেন।
শনিবার কয়েকজন বিরোধী এমপি স্পিকারকে লিখেছিলেন যে আপনার সঙ্গে দেখা করার পরেও বিজেপি এমপি তথা জেপিসি চেয়ারম্যান রাজ্য সফরকে আগের সূচি অনুসারেই করতে চাইছেন।
এদিকে সফর বাতিলের পরে তৃণমূল এমপি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় সোমবার জানিয়েছেন, আমরা সফরসূচি পরিবর্তন করতে বলেছি। কারণ একাধিক রাজ্যে ভোটে অনেকে ব্যস্ত থাকবেন।
এদিকে স্পিকারকে লেখা চিঠিতে সদস্যদের একাংশ দাবি করেছেন যে আশ্চর্যজনকভাবে ৯ নভেম্বর থেকে যে সফর হওয়ার কথা ছিল সেটা বদলানো হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আমাদের মনে হচ্ছে এই সফরকে বয়কট করা দরকার।
জেপিসি প্রধান জগদম্বিকা পালের বিরুদ্ধে 'উদ্ধৃতি' ও 'স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপের' অভিযোগ তুলে দোষারোপ করেছিলেন কল্যাণ।
কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাচারী পদ্ধতিতে কাজ করছেন।
শনিবার থেকে কমিটি আগামী ছ'দিন গুয়াহাটি, ভুবনেশ্বর, কলকাতা, পাটনা এবং লখনউতে বৈঠক করার কথা ছিল।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেছিলেন, বিরোধীরা ৫ নভেম্বর লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে নির্ঘণ্ট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। আমরা জেপিসি-র সভার দিনের সংখ্যা সপ্তাহে দু'দিন থেকে কমিয়ে সপ্তাহে মাত্র একদিন বা প্রতি পক্ষকালে পরপর দু'দিন করার দাবি জানিয়েছিলাম।
তাঁর দাবি, স্পিকার ওম বিড়লা মৌখিকভাবে তাঁদের দাবি বিবেচনা করে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়েছিলেন, কিন্তু তারপর আর কিছু হয়নি।
বিরোধী সাংসদরা কেন আসন্ন বৈঠকগুলি পুনরায় নির্ধারণ করতে চেয়েছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল নেতা উল্লেখ করেছিলেন যে সমস্ত সংসদ সদস্যদেরও 'অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক কাজ' রয়েছে এবং তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার লোকদের সাথে দেখা করতে হবে।
তাঁর অভিযোগ, ওয়াকফ স্টেকহোল্ডারদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হচ্ছে না, সংশোধনী বিলে যাঁদের কোনও অংশীদারিত্ব নেই, তাঁদের বৈঠকের জন্য ডাকা হচ্ছে।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শাসক দলের সদস্যরা দেশের স্বার্থে নয়, নিজেদের অ্যাজেন্ডা অনুযায়ী কাজ করছেন।