শচিন সাইনি
রাজস্থান জুড়ে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে Lumpy Skin disease। অন্তত হাজার চারেক গরু সহ অন্যান্য প্রাণী মারা গিয়েছে এই রোগে। রাজস্থানে ১৬টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ। অন্তত লাখখানের প্রাণী আক্রান্ত এই রোগে।
যোধপুর ও নাগপুর থেকে জাতীয়স্তরের টিম এনিয়ে নমুনা সংগ্রহও শুরু করেছে। রাজস্থানের গঙ্গানগরে সবথেকে বেশি ৮৪০টি গরুর মৃত্যু হয়েছে এই রোগে। কীভাবে ছড়ায় এই রোগ?
মূলত রক্তচোষা পতঙ্গের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। দুষিত খাবার ও জলের মধ্যেও এই রোগ ছড়ায়। গরুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুলে যায়। দুধেরও ঘাটতি শুরু হয়ে যায়। খেতে পারে না। প্রচন্ড জ্বর আসতে থাকে। ধীরে মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়ে ওই গরুটি। এই রোগের মৃত্যুর হার ১.৫ শতাংশ।
রাজস্থানে সব মিলিয়ে প্রায় ১.৪ কোটি গরু রয়েছে। মুখ্যসচিব উষা শর্মা জানিয়েছেন, আজমের, বিকানির, যোধপুরে চিকিৎসার জন্য ৮-১২ লাখ টাকার বাজেট ঠিক হয়েছে। বাকি জেলাগুলির জন্য ২ থেকে ৮ লাখ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে।
আগামী ১৫দিনের মধ্যে রোগ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। সূত্রের খবর, বর্তমান পরিস্থিতিতে নাগপুরে পশু মেলার আয়োজন সম্ভবত স্থগিত করা হচ্ছে। অন্যান্য রাজ্য থেকে যাতে পশু আনা না হয় সেব্যাপারেও নির্দেশ দিয়েছে রাজস্থান সরকার। অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অফ হেল্থ, ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যানিমাল হাসবান্ড্রি ডঃ এনএম সিং জানিয়েছেন, সংক্রামিত পশুকে আলাদা রাখার ব্যাপারে বলা হয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দুধ খাওয়া কতটা উচিত হবে? তিনি জানিয়েছেন, দুধ ফুটিয়ে খেলে কোনও সমস্যা হবে না।