দেশের ২৯তম সেনা প্রধান হিসেবে এমএম নারাভানের স্থালাভিষক্ত হলেন লেফট্যানেন্ট জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। তিনি প্রথম ইঞ্জিনিয়ার যিনি এই পদে বসলেন। দীর্ঘ ৩৯ বছরে সেনায় থাকা মনোজ পাণ্ডে ১৯৮২ সালে সেনার ইঞ্জিনিয়ারিং রেজিমেন্ট বম্বে স্যাপারসে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে দেশের পশ্চিম সীমান্তে, জম্ম-কাশ্মীর সীমান্তে মোতায়েন থেকেছেন তিনি। অপারেশন পরাক্রমের সময় জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মোতায়েন থাকা ১১৭ ইঞ্জিনিয়ার রেজিমেন্টের নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল পাণ্ডে।
তাছাড়া সেনার মাউন্টেন ডিভিশনেও ছিলেন দেশের নতুন সেনা প্রধান। সেই সময় তিনি পশ্চিম লাদাখের দায়িত্ব সামলেছেন৷ পাশাপাশি দেশের পূর্ব সীমান্তে বিভিন্ন বিদ্রোহ নির্মূল অভিযানের নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি৷ সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের হেডকোয়াটারে ব্রিগেডিয়র জেনেরাল স্টাফ (অপারেশন) পদে থেকেছেন মনোজ পাণ্ডে৷ এছাড়াও জেনারেল মনোজ পাণ্ডে সেনা সদর দফতরের মিলিটারি অপারেশন ডিরেক্টরেটের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেলের পদ, সেনার সাউদার্ন কমান্ড হেডকোয়াটারের প্রধানের মতো পদ সামলেছেন৷ ৩৯ বছর ধরে সেনা ও দেশের জন্য নিজের জীবন উত্সর্গ করার জন্য তিনি সেনার পরম বিশিষ্ট সেবা পদক, অতি বিশিষ্ট সেবা পদক, বিশিষ্ট সেবা পদক-সহ একাধিক সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন৷
আরও পড়ুন: ‘অপ্রাসঙ্গিক আইন বাতিল করুন’, মুখ্যমন্ত্রীদের সংবেদনশীল হওয়ার বার্তা মোদীর
ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ থেকেছেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। রাষ্ট্রসংঘের শান্তি রক্ষা বাহিনীর হয়ে ইথিওপিয়া ও এরিট্রেয়া মিশনে কাজ করেছেন তিনি। দুই ক্ষেত্রে মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার পদে ছিলেন জেনারেল পাণ্ডে৷ বিগত কয়েক বছরে আন্দামান, ইস্টার্ন কমান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ পোস্টিংয়ে থেকেছেন জেনারেল পাণ্ডে। ২০২০ সালের জুন মাস থেকে ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সেনার কমান্ডে কমান্ডার-ইন-চিফ পদে ছিলেন জেনারেল পাণ্ডে৷ এরপর ২০২১ সালের জুন মাস থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডিং-ইন-চিফ পদে ছিলেন৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভাইস চিফ অফ আর্মি স্টাফ পদে বসেন মনোজ পাণ্ডে৷ এবার তিনি হলেন ভারতের সেনা প্রধান।