সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজের মন্তব্যের জেরে সমালোচনার মুখে পড়েছেন এসএন সুব্রহ্মণ্যন। তবে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন লারসেন অ্য়ান্ড টুব্রোর হিউম্যান রিসোর্স (HR) বিভাগের প্রধান সোনিকা মুরলীধরন। তিনি দাবি করলেন, লারসেন অ্য়ান্ড টুব্রোর চেয়ারম্যানের মন্তব্যের পুরোপুরি ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। ওই মন্তব্যের আগে কী বলেছেন, পরে কী বলেছেন, সেইসব বিবেচনা না করেই তাঁকে নিয়ে অহেতুক সমালোচনা করা হচ্ছে। লারসেন অ্য়ান্ড টুব্রোর চেয়ারম্যান কখনওই সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজের ‘নিদান’ দেননি বা ঘুরিয়েও সেটা বলতে চাননি। একেবারে হালকা চালে সুব্রহ্মণ্যন সেই মন্তব্য করেছিলেন বলে দাবি করেছেন লারসেন অ্য়ান্ড টুব্রোর হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের প্রধান। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উনি প্রত্যেক কর্মীকে নিজের বর্ধিত পরিবারের অংশ হিসেবে বিবেচনা করেন। একতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বোধ জাগিয়ে তোলেন, যা আজকের কর্পোরেট দুনিয়ায় বিরল।’
সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্যের রেশ ধরে সিনেমাও হচ্ছে!
আর তিনি এমন একটা সময় সেই মন্তব্য করেছেন, যখন লারসেন অ্য়ান্ড টুব্রোর চেয়ারম্যানের ‘নিদান’ নিয়ে ঘুরিয়ে খোঁচা দিচ্ছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মতো শিল্পপতিও। আবার তাঁর মন্তব্যের রেশ ধরে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের উইন্ডোজ প্রোডাকশন হাউসের তরফে একটি সিনেমার পোস্টারও তৈরি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, 'রবিবার বাড়িতে বসে কী করবেন? কতক্ষণ বউয়ের দিকে তাকিয়ে থাকবেন? SAY NO TO TOXIC BOSS।' সেইসঙ্গে ওই সিনেমার মুক্তির দিনক্ষণ জানানো হয়েছে।
ঠিক কী বলেছিলেন L&T চেয়ারম্যান?
সরাসরি ওই প্রয়োজনা সংস্থার তরফে লারসেন অ্য়ান্ড টুব্রোর চেয়ারম্যানের নাম করা হয়নি। তবে তাদের ইঙ্গিত যে সেদিকেই ছিল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ অভ্যন্তরীণ বৈঠকের সময় লারসেন অ্য়ান্ড টুব্রোর চেয়ারম্যান বলেছিলেন, 'আমি হতাশ যে আমি আপনাদের দিয়ে রবিবারও কাজ করাতে পারি না। আমি যদি আপনাদের রবিবার কাজ করাতে পারতাম, তাহলে আমি আরও খুশি হতাম। কারণ আমি নিজে রবিবার কাজ করি।'
তিনি আরও বলেছিলেন, 'বাড়িতে বসে কী করেন আপনারা? নিজের বউয়ের দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারেন? স্বামীর দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারেন স্ত্রী?' সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'যদি আপনাকে বিশ্বের সেরা হতে হয়, তাহলে সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে।'
'নিজের মন থেকে কর্মীদের মঙ্গলের কথা ভাবেন সুব্রহ্মণ্যন'
আর সেই আবহেই লিঙ্কডইন পোস্টে নিজেদের সংস্থার চেয়ারম্যানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন লারসেন অ্য়ান্ড টুব্রোর হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের প্রধান। তিনি বলেছেন, 'তুমুল ব্যস্ত সত্ত্বেও উনি কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলতে সময় বের করে নেন। নিশ্চিত করেন যে তাঁদের কথা শোনা হচ্ছে। এই নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই যে এসএন সুব্রহ্মণ্যন এমন একজন নেতা, যিনি মন থেকে নিজের দলের মঙ্গলের কথা ভাবেন।'