করোনাভাইরাসের ধাক্কায় বাজারে চাহিদা কমেছে। তাই ক্রেতাদের হাতে বাড়তি অর্থের জোগান দিয়ে ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর পথে হাঁটল কেন্দ্র। তারই অঙ্গ হিসেবে চলতি বছর ‘ছুটির সময় ভ্রমণে ছাড়’-এর (এলটিসি) পরিবর্তে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ক্যাশ ভাউচার দেওয়া হবে। এতদিন এলটিসির টাকায় শুধুমাত্র জিএসটি আওতাভুক্ত দ্রব্য কেনা যাবে। কোনও খাবার কেনার সুযোগ মিলবে না।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, ভাউচারের মাধ্যমে সরকারি কর্মীরা তাঁদের এলটিসি এনক্যাশ করতে পারবেন। তিনি বলেন, 'করোনাভাইরাসের কারণে কর্মীরা যেহেতু কোথায় ঘুরতে যেতে পারছেন না, তাঁরা আরও বেশি করে নিজেদের পছন্দের জিনিস কেনার জন্য সেই টাকা ব্যবহার করতে পারবেন। যে দ্রব্যগুলির জিএসটি ১২ শতাংশ বা তার বেশি, সেগুলির ক্ষেত্রেই সেই টাকা খরচ করা যাবে।'
একনজরে দেখে নিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
- নিজেদের পছন্দ মতো কোনও জায়গায় যাওয়ার জন্য প্রতি চার বছরে এলটিসি পান সরকারি কর্মচারীরা। তাতে দুটি বিকল্প থাকে। প্রথমটি হল - ভারতের যে কোনও জায়গায় প্রান্তে যাওয়া এবং একবার বাড়ির শহরে যাওয়ার একবার এলটিসি। আর দ্বিতীয়টি হল - নিজের বাড়িতে যাওয়ার জন্য জোড়া এলটিসি। নির্দিষ্ট বেতনক্রম বা পদের ভিত্তিতে সেই অর্থ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ১০ দিনের লিভ এনক্যাশমেন্ট (বেতন ও মহার্ঘ ভাতা) দেওয়া হয়।
- আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচারের প্রকল্প বৈধ থাকবে। অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে সেই অর্থ খরচ করতে হবে।
- যে দ্রব্যগুলির জিএসটি ১২ শতাংশ বা তার বেশি, সেগুলির কেনার ক্ষেত্রেই এই সুবিধা মিলবে।
- শুধুমাত্র ডিজিটাল লেনদেন করতে হবে। জিএসটি ইনভয়েস জমা দিতে হবে।
- কেন্দ্রের দাবি, এলটিসি ভাউচার প্রকল্পের বাজারে চাহিদা বাড়বে। যার পরিমাণ হবে প্রায় ২৮,০০০ কোটি টাকা।
- সীতারামন বলেন, ‘যদি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী সেটা (ক্যাশ ভাউচার) বেছে নেন, তাহলে ৫,৬৭৫ কোটি টাকা মতো খরচ হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীরাও সেই সুযোগ পাবেন। সেজন্য ১,৯০০ কোটি টাকার খরচ ধরা হয়েছে।’