উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ বিমানবন্দরে এবার থেকে দিনের বেলা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে উড়ান পরিষেবা। চৌধুরী চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আরও উন্নত করা হচ্ছে। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে নতুন রানওয়ের কাজ হবে এখানে। তাকে উন্নত করার কাজ শুরু হবে। আর সেই কাজ শেষ হবে ১৫ জুলাই। এটাই মোটামুটি সময় ধরা হয়েছে। তার জেরে ওই সময়কালে সকাল ১০টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত উড়ান চলাচল চৌধুরী চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বন্ধ করে রাখা হবে। ১ মার্চ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি করা থাকবে। এই খবর সামনে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চৌধুরী চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে খবর, এই বিমানবন্দরকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হবে। আর তাই এই কাজটি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একটি নোটিশ জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এখান থেকে যাঁরা অন্যত্র যাতায়াত করেন তাঁরা এবার বিকল্প পথ নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন। তবে সকাল ১০টার আগে এবং সন্ধ্যে ৬টার পর বিমান পরিষেবা মিলবে। শুধু সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কোনও বিমান পরিষেবা পাবেন না জনগণ।
আরও পড়ুন: প্রণব–পুত্র অভিজিৎ আবার কংগ্রেসে, বুধবারই ‘ঘরে’ ফিরছেন তৃণমূল সংস্রব ত্যাগ করে
এই পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ বিমান বাতিল করা হলেও ১৩২টি বিমান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সেগুলি সকাল ১০টার আগে এবং সন্ধ্যে ৬টার পরই মিলবে। আর তাই দিনের বেলা কোনও বিমানের টিকিং বুক করা হবে না। সারাদিন ধরে এখান থেকে যে পরিমাণ বিমান অন্যত্র যাতায়াত করে সেগুলি আপাতত বন্ধ থাকবে। সুতরাং দিনের বেলায় যাত্রীদের অন্যদিক দিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। একেবারে সকালের দিকে কয়েকটি বিমান চলাচল করলেও বেলা বাড়লেই তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই ২০ হাজার মানুষ এখান থেকে নিজেদের টিকিট বুক করেছেন। তবে তাঁরা এবার নিজেদের টাকা ফেরত পাবেন।
২০১৮ সালে শেষবার এই বিমানবন্দর সংস্কার হয়েছিল। এবার তা আরও চওড়া করা হচ্ছে। এই বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই যাতে সহজে ট্যাক্সি ধরা যায় তার জন্য পৃথক পথ করা হচ্ছে। লখনউ থেকে যেসব আন্তর্জাতিক উড়ান যায় সেগুলিকেও অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু রানওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে তাই সেখান থেকে বিমান ওঠানামা করবে না। ইতিমধ্যেই ইন্ডিগোর ১২টি বিমান বাতিল করা হয়েছে। তবে এখানকার বহু বিমান নামবে কানপুর বিমানবন্দরে। কদিন আগে পর্যন্ত দিল্লি থেকে লখনউ পর্যন্ত বিমানের ভাড়া ছিল প্রায় ২৫০০ টাকা, সেখানে এই ভাড়া বেড়ে হতে পারে ৫০০০ থেকে ৬০০০ টাকা। ফলে যাত্রীদের উপর বাড়তি টাকাকড়ির চাপ পড়তে পারে। এই সংস্কারের কাজটি করবে আদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিংস লিমিটেড।