লুধিয়ানায় কোর্ট চত্বরে বিস্ফোরণ ঘিরে তদন্ত প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে নানান তথ্য উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই যে প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর দেহ এই বিস্ফোরণ স্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে, তার সঙ্গে কাদের যাতায়াত ছিল, বা যোগাযোগ ছিল , তা নিয়ে চলছে তদন্ত। ইতিমধ্যেই পুলিশের তদন্তকারী দল জানতে পেরেছে যে গগনদীপ সিং নামের যে ব্যক্তির দেহ বিস্ফোরণ স্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে সে ২০১৯ সালে পুলিশ ডিপার্টমেন্ট থেকে বরখাস্ত হয়। শুধু তাই নয়, মাদক পাচারচক্রে তার নাম থাকায় সে দু বছর হাজতবাসও করেছে। এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে লুধিয়ানার বিভিন্ন জায়গায় বহু তল্লাশি শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার লুধিয়ানায় সেন্ট্রাল জেলে একটি তল্লাশি পর্ব চলছিল। সেই সময় সেখান থেকে ১১ টি মোবাইল ফোন জেলের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে। যে ঘটনা ঘিরে রীতিমতো রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, জেলের ভিতরে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে। ঘটনায় সন্দেহের তির যাচ্ছে জেলের ১০ জন বন্দির দিকে। তাদের নামে অভিযোগও দায়ের হয়েছে। উল্লেখ্য, যে ১১ টি মোবাইল এই ঘটনায় উদ্ধার হয়েছে, সেখানে ৭ টিতে কোনও সিমকার্ড ছিল না। বাকি চারটিতে ছিল সিম কার্ড। এছাড়াও জেলের শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ফোন। এই ফোন কার হতে পারে, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। এমন ঘটনার জেরে বহু প্রশ্নের পরত ক্রমেই জটিল ধাঁধায় রেখে দিয়েছে লুধিয়ানা পুলিশকে।
এদিকে, তদন্তের নিরিখে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্তের সঙ্গে জেলের কয়েকজন আসামীর সংযোগ ছিল। এরপর এমন মোবাইল উদ্ধার হওয়াতে রীতিমতো সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। এদিকে, সেন্ট্রাল জেলে মোবাইল উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে তদন্তকারী অফিসার রাজিন্দর সিং জানিয়েছেন যে ওই মোবাইলগুলি ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে তদন্তের স্বার্থে। ইতিমধ্যেই যাদের কাছ থেকে সন্দেহজনক মোবাইল মিলেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রিজন অ্যাক্টের আওতায় মামলাও দায়ের হয়েছে। জেলে মোবাইল উদ্ধারের ঘটনা লুধিয়ানা কোর্টে বিস্ফোরণের তদন্তে কতটা কার্যকরী ‘লিড’ হতে পারে, তার দিকে নজর রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের।