পঞ্জাবের লুধিয়ানার একটি কারখানায় রবিবার গ্যাস লিক হওয়ার পরে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কারখানা এবং সেই এলাকায় এখনও বেশ কয়েকজন আটকা পড়ে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটে লুধিয়ানার শেরপুর চকের কাছে সুয়া রোডে। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে গ্যাস লিকের বিষয়টি প্রথম নজরে আসে। এখনও পর্যন্ত সেই এলাকা থেকে ১১ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন মারফত। জানা গিয়েছে, যে কারখানায় গ্যাস লিক হয়েছে, সেটি দুগ্ধজাত পণ্য তৈরি করে। প্রাথমিক অনুমান, কারখানার ‘কুলিং সিস্টেম’ থেকে এই গ্যাস লিক হয়েছে।
লুধিয়ানার এসপি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানান, গ্যাস লিকের কারণে কারখানায় থাকা কর্মীদের অনেকেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ঘটনার খবর পেতেই দ্রুত সেখানে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। সঙ্গে বেশ কয়েকজন চিকিৎসককেও ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। লুধিয়ানার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাতি টিওয়ানা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, 'গ্যাস লিকের কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবেন তাঁরা। এই ঘটনায় ৯ জন মারা গিয়েছেন এবং ১১ জন অসুস্থ।'
এদিকে কী কারণে এবং কোথা থেকে এই গ্যাস লিক হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী গ্যাস লিকের উৎস খুঁজে বের করতে তদন্ত করবে। এদিকে লুধিয়ানার যে অঞ্চলে এই কারখানাটি অবস্থিত, সেখানে প্রচুর মানুষের বাস। এই আবহে স্থানীয়দেরও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদিকে সেই এলাকার বহু বাসিন্দাও এই গ্যাস লিকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে স্থানীয়দের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে জানান সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাতি টিওয়ানা। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সেই কারখানার ৩০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত যেসব বাড়ি অবস্থিত, সেখানকার মানুষজনের নিশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। এই আবহে লুধিয়ানার বাসিন্দাদের সেই এলাকায় যেতে বারণ করা হচ্ছে। পুলিশকর্মীরা মুখে রুমাল বেঁধে সেখানে কাজ করছেন।