কী হবে মধ্যপ্রদেশে সাত মাসের বিজেপি সরকারের ভবিষ্যৎ? উপনির্বাচনে কি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন শিবরাজ সিং চৌহান নাকি প্রত্যাবর্তন করবে কংগ্রেস? কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর মিলবে, যখন রাজ্যের ২৮ টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের গণনা হবে।
ছত্তিশগড়, কর্নাটক, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা-সহ দেশের ১১ টি রাজ্যের ৫৮ টি আসনে উপনির্বাচন হলেও মধ্যপ্রদেশের গুরুত্ব সবথেকে বেশি। সেই ফলাফলের উপরই নির্ভর করবে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকবে কিনা। আপাতত শিবরাজ সরকারের হাতে আছে ১০৭ টি আসন। উপনির্বাচনে আটটি আসনে জিততে পারলেই বাইরে থেকে কোনও সমর্থন ছাড়াই ২৩০ আসন-বিশিষ্ট বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে যাবে শিবরাজের সরকার। আপাতত একটি আসন ফাঁকা আছে। অন্যদিকে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য কংগ্রেসকে ২৮ টি আসনেই জিততে হবে। যে দলের হাতে এখন ৮৭ টি আসন। ফলে কংগ্রেসের কাজটা যথেষ্ট শক্ত।
কংগ্রেসের আশা আরও কমেছে বুথফেরত সমীক্ষায় (সেই সমীক্ষা অবশ্য সর্বদা না মেলে না)। আপাতত সেই সমীক্ষায় কংগ্রেসের থেকে এগিয়ে আছে বিজেপি। অথচ বিধানসভা ভোটে সেই ২৮ টি আসনের মধ্যেই ২৭ টিতে জিতেছিল কংগ্রেস। কিন্তু গত ১০ মার্চ ইস্তফা দিয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অনুগামী ২২ জন বিধায়ক। তার জেরে ১৫ মাসেই মধ্যে পড়ে গিয়েছিল কমল নাথের সরকার। তাঁরা সবাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন এবং নিজেদের আসন থেকেই টিকিট পেয়ে লড়েছেন।
তা সত্ত্বেও আশা ছাড়ছেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। ফল প্রকাশের আগের সন্ধ্যায় টুইটারে তিনি দাবি করেছেন, মানুষের সমর্থনে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করবে কংগ্রেস এবং অনৈতিকভাবে গঠিত বিজেপি সরকার পড়ে যাবে। যদিও তাতে পাত্তা দেয়নি বিজেপি। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি বিষ্ণু দত্ত শর্মা দাবি করেন, উপনির্বাচনে বড়সড় জয় পাবে বিজেপি। বসপার আবার আশা, কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। আর সেই ফাঁকে কিংমেকার হবেন মায়াবতী।